জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (০৯ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ খবর দিয়েছে।
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটকে দেশটির ওপর থেকে অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক মহাসচিব মার্ক লওকক।
বুধবার (০৮ নভেম্বর) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক শেষে সংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি বিষয়টি কাউন্সিলকে বলেছি। যদি অচিরেই এই ধরনের অবরোধ প্রত্যাহার না করা হয় তাহলে … ইয়েমেনে দুর্ভিক্ষ হবে। ’
‘এটা হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুর্ভিক্ষ। যেখানে লাখ লাখ মানুষ ভুক্তভোগী হবে। ’
রিয়াদে হুথি বিদ্রোহীদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার পর সোমবার (০৬ নভেম্বর) আকাশ, স্থল ও সমুদ্র পথ বন্ধ করে দেয় সৌদি জোট।
বিবৃতিতে জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইয়েমেনের বেশিরভাগ এলাকার নিয়ন্ত্রণ থাকা হুথিদের এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে ‘বিপজ্জনক মাত্রাবৃদ্ধি’ হিসেবে উল্লেখ করে তারা। বিদ্রোহীদের কাছে ইরানের অস্ত্র পাঠানো বন্ধ করার জন্য অবরোধের দরকার ছিল।
তবে বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে ইরান।
এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুতে জাতিসংঘ ও রেড ক্রস সতর্ক করে বলে, ‘সর্বনাশা’ এ পরিস্থিতি লাখ লাখ ইয়েমেনিদের হুমকির সম্মুখীন করেছে; যারা জীবন-রক্ষাকারী নানা সহায়তার ওপর নির্ভর করেছিলেন।
রেড ক্রস বলছে, তাদের ক্লোরিন ট্যাবলেটের একটি চালান অবরোধে আটকে গেছে। কলেরা মহামারির ঝুঁকিতে থাকা কমপক্ষে ৯ লাখ ইয়েমেনির জন্য এই ট্যাবলেট সরবরাহ করা জরুরি।
আর জাতিসংঘ বলছে, সৌদি জোটের অবরোধের কারণে ৭০ লাখ (৭ মিলিয়ন) লোক দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে আছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির সিংহভাগ মানুষই বাইরের সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু অবরোধের কারণে এখন খাদ্য, জ্বালানি কিংবা ওষুধ কিছুই দেশটিতে প্রবেশ করতে পারছে না।
২০১৫ সালে ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট হস্তক্ষেপ করার পর থেকে সেখানকার পরিস্থিতির ক্রমাবনতি ঘটছে। গত দুই বছরে দেশটিতে ৮ হাজার ৬৭০ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে, যার ৬০ শতাংশই বেসামরিক নাগরিক।
আর আহতের সংখ্যাও ছাড়িয়েছে প্রায় অর্ধ লাখের বেশি বলেও জানিয়েছে জাতিসংঘ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৭
এমএ/