ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মান্দারিন শিখছে ভারতীয় সীমান্তসেনারা!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৮
মান্দারিন শিখছে ভারতীয় সীমান্তসেনারা! চীনা ও ভারতীয় সীমান্তসেনারা। ফাইল ছবি

মান্দারিন ভাষাতেই চীনের সবচে বেশি মানুষ কথা বলে। এটি চীনের দাপ্তরিক ভাষাও বটে। কিন্তু ভারতীয়দের কাছে একেবারেই দুর্বোধ্য এই ভাষা।

এর ফলে ইংরেজি কম জানা বা একেবারেই না-জানা চীনা সীমান্ত সেনাদের সঙ্গে ভারতীয় সীমান্ত সেনাদের মতবিনিময়ে ব্যাপক সমস্যা হয়। এমনকি ভুলবোঝাবুঝির কারণে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধার মতো পরিস্থিতি পর্যন্ত তৈরি হয়ে যায়।

দুকলামে ভাষাবিভ্রাটের কারণে দুপক্ষের মধ্যে পাথর ছোড়াছুড়ি হওয়ার ঘটনা ঘটেছে বেশ কবার।  

এবার এ্ই সমস্যা ধীরে ধীরে কেটে যাবে। চীনের মান্দারিন ভাষা শিখবে এবার ভারতীয় সীমান্ত সেনা ও পুলিশ। উদ্দেশ্য চীনাদের সঙ্গে যোগাযোগ ও বোঝাপড়া বাড়ানো আর নিজের নিরাপত্তা-দক্ষতা ও চৌকসতা আরো বাড়িয়ে তোলা।

(আইটিবিপি) ভারত-তিব্ববত সীমান্তে মোতায়েন ভারতীয় পুলিশ মান্দারিন ভাষা শেখা এরই মধ্যে শুরু করে দিয়েছে। এর আগে যে চারজন জওয়ান মান্দারিন ভাষা শেখার কোর্স সম্পন্ন করেছিলেন, তাদেরকে সীমান্তে নিয়োগ করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথের ইচ্ছাতেই এবার সীমান্ত সেনাদের মান্দারিন শিখতেই হচ্ছে। রাজনাথ স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, চীনা সেনাদের সঙ্গে যোগাযোগ আরো নিবিড় করতে এবং ভাষার ব্যবধান ঘোচাতে ভারত-চীন সীমান্তে মোতায়েন প্রতিটি ভারতীয় সেনাকে মান্দারিন ভাষা শিখতে হবে। যাতে করে ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ না থাকে। সীমান্তের মতো স্পর্শকাতর স্থানে স্রেফ ভাষাগত দূরত্বের কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এমনটারই উপক্রম হয়েছিল দুকলামে দু’দেশের সৈন্যরা মুখোমুখি অবস্থান নেওয়ার সময়।

উল্লেখ্য, চীন ও ভারতের সেনারা দুকলামে টানা ৭২ দিন পরস্পরের মুখোমুখি অবস্থান নেয়। দুপক্ষের মধ্যে যোগাযোগের প্রধান বাধা হয়ে ওঠে ভাষা। এ সময় দুপক্ষকেই পড়তে হয় বিব্রতকর অবস্থায়।

আইটিবিপি-র ২৫ জন জওয়ান এরই মধ্যে মান্দারিন ভাষার ১ বছরের কোর্স সম্পন্ন করেছেন।

বাংলাদেশ সময়:১৬৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৮

জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।