ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

এনডিটিভিকে মানিক সরকার

একেবারেই অপ্রত্যাশিত!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০১৮
একেবারেই অপ্রত্যাশিত!

‘এই পরাজয় একেবারেই অপ্রত্যাশিত। এটা আমাদের হতবাক, অপ্রস্তুত করে দিয়েছে। এমন পরাজয়ের জন্য আমরা মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না। এমনটা আমাদের কল্পনাতেও ছিল না।’

এই উপলব্ধি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে নির্বাচনে হেরে যাওয়া চার বারের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভিকে রোববার দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে নির্বাচনোত্তর প্রতিক্রিয়ায় একথা বলেন উনসত্তর বছর বয়সী এই পোড়খাওয়া বাম নেতা।

গত শনিবার প্রকাশিত ফলাফল সারা ভারতকে তোলপাড় করে দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের বাম দুর্গটি ধসে পড়ল। টানা ২৫ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটলো। প্রথমবারের মতো গেরুয়া-রঙ ঝাণ্ডা উড়লো। এখন বাম দলীয় সরকার টিকে রইলো কেবল একটি মাত্র রাজ্য কেরালায়।

ত্রিপুরায় ৬০ আসনের মধ্যে ৪৩টিই জয় করে নিল বিজেপি জোট। এমন শোচনীয় পরাজয় বামপন্থিদের (সিপিএম) চরম লজ্জায় ফেলেছে। এমনটা কী করে ঘটল তা এখনও তারা ঠাহর করে উঠতে পারছে না।

মানিক সরকার তাই বললেন, ‘‘আমরা এই পরাজয়ের কারণ খতিয়ে দেখব। এই পরাজয় একেবারেই অপ্রত্যাশিত। এমন পরাজয়ের জন্য আমরা মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না। ’’

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের নির্বাচনে ত্রিপুরার একটিও আসন জিততে পারেনি বিজেপি। অথচ এবার তারা প্রায় সব আসন জিতে নিয়ে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক চমকের জন্ম দিয়েছে।

‘‘ভারতের সবচেয়ে গরিব মুখ্যমন্ত্রী’’ বলে পরিচিত মানিক সরকার নির্বাচনী প্রচারনার দিকটি বলতে গেলে একাই সামাল দিয়েছেন। তার গরিবি হালের প্রচারণা ছিল বিজেপির প্রচারণার কাছে একেবারেই ম্লান---জাকজমকহীন, বিজেপির প্রচারণায় ছিল সাজসাজ রব, বিপুল আড়ম্বর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মতো হেভিওয়েট লোকজন এসে নির্বাচনী প্রচারনার নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাদের স্লোগান ছিল ‘পরিবর্তন’।

হেরে যাবার পর বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার রোববার গভর্নর তথাগত রায়ের কাছে পদত্যাগপত্র তুলে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রাজ্যের বিজেপিপ্রধান ৪৮ বছর বয়সী বিপ্লব কুমার দেব এখন মানিক সরকারের স্থলাভিষিক্ত হবেন-- এমন সম্ভাবনাই জোরালো।

পদত্যাগপত্র জমা দেবার পর নিজ বাসভবনে বসে এনডিটিভির সঙ্গে একান্তে কথা বলেন বর্ষীয়ান এই বাম নেতা।  

"এমন ফলাফল একেবারেই অপত্যাশিত । কিন্তু ফল তো প্রকাশিত হয়েছে সবেমাত্র গতরাতে। আমরা এখন তাই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তথ্য সংগ্রহ করে যাচ্ছি। তাই এখনই এর বেশি কিছু বলা যাবে না। তথ্য উপাত্ত ও কারণ খতিয়ে দেখার আগে চূড়ান্ত কিছু বলা যাবে না। তাই আমাদের আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে।

সিপিএম এরই মধ্যে নির্বাচনকালে বিজেপি অঢেল টাকা ঢালা ও পেশীশক্তির ব্যবহারের অভিযোগ এনেছে।  

মানিক সরকারের মতে, এবারের নির্বাচনে রাজ্যের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠি ও আদিবাসীরা টাকার লোভে বিজেপির বাক্সে ভোট ফেলেছে। এদের বিজেপির পক্ষে অবস্থানই এমন বিপুল ব্যবধান গড়ে দিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৮
জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।