কাঠমুন্ডু: নেপালের সংখ্যালঘু খ্রিস্টান সম্প্রদায় তাদের কবরস্থানের জন্য জায়গা বরাদ্দ না করে দিলে অনশনে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে। আজ সোমবার দেশব্যাপী এই অনশন কর্মসূচী শুরু হতে পারে।
খ্রিস্টান সম্প্রদায় গত ফেব্রুয়ারি থেকে কবরস্থানের জন্য জায়গা বরাদ্দের বিষয়ে সরকারের সঙ্গে দরকষাকষি করে আসছে। খ্রিস্টান নেতারা জানান, স্থানীয় লোকজনের আপত্তির কারণে তাদের সম্প্রদায়ের অনেকের লাশ দাফন করার পর কবর থেকে তুলে আবার অন্যত্র দাফন করতে হয়।
তারা জানান কয়েকটি মৃতদেহ গোপনে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। হিন্দু অধ্যুষিত দেশ নেপালে পাঁচ ভাগেরও কম খ্রিস্টান জনগোষ্ঠী রয়েছে।
একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিনিধি নেপাল থেকে জানান, গরীব হিন্দুরা কট্টর বর্ণপ্রথা থেকে বাঁচতে এবং একটু ভালো থাকার আশায় দেশটিতে খ্রিস্টান ধর্ম অধিকতর জনপ্রিয় হচ্ছে। মৃতদেহের কবর দেওয়ার কারণে খ্রিস্টানদের জন্য আলাদা জায়গার দরকার। এই বিষয়টি নিয়েই সরকারের সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্বের কারণ।
বিষয়টি নিয়ে সরকারের সঙ্গে বেশ কয়েকদফা বৈঠকের পরও সরকার তাদের জন্য কোন জমি বরাদ্দ দেয়নি। মার্চে শত শত খ্রিস্টান দেশটির রাজধানী নেপালে কবরের জমি বরাদ্দ দেওয়ার জন্য বিক্ষোভ করে।
ফেব্রুয়ারি থেকে খ্রিস্টানরা তাদের লাশ পশুপতিনাথ মন্দিরের জমিতে কবর দেওয়া থেকে বিরত থাকে। গত কয়েক দশক ধরে তারা স্বজনদের লাশ পশুপতিনাথ মন্দিরের জমিতেই কবর দিয়ে আসছিলো।
মন্দির কর্তৃপক্ষ জানায়, মন্দিরের জমিতে নতুন কবরের জন্য আর কোন জায়গা খালি নাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১১