ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

লোকসভা নির্বাচন: কোন ধাপে কোন রাজ্যে কতো আসনে ভোট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৯
লোকসভা নির্বাচন: কোন ধাপে কোন রাজ্যে কতো আসনে ভোট

ক্যালেন্ডারে ‘মার্ক’ করে রাখুন আসছে ২৩ মে তারিখটাকে। বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনগোষ্ঠীর এবং সর্ববৃহৎ গণতন্ত্রের রাষ্ট্র ভারতের পরবর্তী পাঁচ বছর সরকার চালাবেন কারা, জানা যাবে সেদিনই। এর আগে ১১ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) থেকে শুরু হয়ে ১৯ মে পর্যন্ত ৭ ধাপে অনুষ্ঠিত হবে ভারতের সপ্তদশ জাতীয় সংসদ (লোকসভা) নির্বাচন। ২৯টি রাজ্য ও ৭টি কেন্দ্রীয় অঞ্চলের ৫৪৩টি আসনে এ ভোটের আয়োজনে ভারতজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। কোন রাজ্য বা অঞ্চলের কোন আসনে কোন ধাপে ভোট, তুলে ধরা হচ্ছে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য।

কোন ধাপে কখন ভোট
লোকসভার প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম ধাপে ভোট হবে যথাক্রমে ১১ এপ্রিল, ১৮ এপ্রিল, ২৩ এপ্রিল, ২৯ এপ্রিল, ৬ মে, ১২ মে এবং ১৯ মে। সব ধাপের ভোট গ্রহণের পর গণনা হবে ২৩ মে, সেদিনই গণনার সঙ্গে সঙ্গে ঘোষিত হতে থাকবে ফলাফল।

প্রথম ধাপে ভোট যে রাজ্য-অঞ্চলে (আসন সংখ্যাসহ)
প্রথম ধাপে ভোট হবে ২০টি রাজ্য-অঞ্চলের ৯১টি আসনে। এর মধ্যে অন্ধ্র প্রদেশের ২৫টি, অরুণাচল প্রদেশের ২, আসামের ৫, বিহারের ৪, ছত্তিশগড়ের ১, কাশ্মীরের ২, মহারাষ্ট্রের ৭, মনিপুরের ১, মেঘালয়ের ২, মিজোরামের ১, নাগাল্যান্ডের ১, উড়িষ্যার ৪, সিকিমের ১, তেলেঙ্গানার ১৭, ত্রিপুরার ১, উত্তর প্রদেশের ৮, উত্তরাখণ্ডের ৫, পশ্চিমবঙ্গের ২, আন্দামান ও নিকোবার দ্বীপের ১ ও লাক্ষাদ্বীপের ১টি আসন রয়েছে।

দ্বিতীয় ধাপে ভোট যে রাজ্য-অঞ্চলে (আসন সংখ্যাসহ)
দ্বিতীয় ধাপে ভোট হবে ১৩টি রাজ্য-অঞ্চলের ৯৭টি আসনে। এরমধ্যে আসামের ৫টি, বিহারের ৫, ছত্তিশগড়ের ৩, কাশ্মীরের ২, কর্ণাটকের ১৪, মহারাষ্ট্রের ১০, মনিপুরের ১, উড়িষ্যার ৫, তামিলনাড়ুর ৩৯, ত্রিপুরার ১, পশ্চিমবঙ্গের ৩ এবং পুড়ুচেরির ১টি আসন রয়েছে।

তৃতীয় ধাপে ভোট যে রাজ্য-অঞ্চলে (আসন সংখ্যাসহ)
তৃতীয় ধাপে ভোট হবে ১৪টি রাজ্য-অঞ্চলের ১১৫টি আসনে। এরমধ্যে আসামের ৪টি, বিহারের ৫, ছত্তিশগড়ের ৭, গুজরাটের ২৬, গোয়ার ২, কাশ্মীরের ১, কর্ণাটকের ১৪, কেরালার ২০, মহারাষ্ট্রের ১৪, উড়িষ্যার ৬, উত্তর প্রদেশের ১০, পশ্চিমবঙ্গের ৫, দাদরা ও নগর হাবেলির ১ এবং দামান ও দীউর ১টি আসন রয়েছে।

চতুর্থ ধাপে ভোট যে রাজ্য-অঞ্চলে (আসন সংখ্যাসহ)
চতুর্থ ধাপে ভোটগ্রহণ হবে ৯টি রাজ্য-অঞ্চলের ৭১টি আসনে। এর মধ্যে বিহারের ৫টি, কাশ্মীরের ১, ঝাড়খণ্ডের ৩, মধ্য প্রদেশের ৬, মহারাষ্ট্রের ১৭, উড়িষ্যার ৬, রাজস্থানের ১৩, উত্তর প্রদেশের ১৩ এবং পশ্চিমবঙ্গের ৮টি আসন রয়েছে।

পঞ্চম ধাপে ভোট যে রাজ্য-অঞ্চলে (আসন সংখ্যাসহ)
পঞ্চম ধাপে ভোট হবে ৭টি রাজ্য-অঞ্চলের ৫১টি আসনে। এর মধ্যে বিহারের ৫টি, কাশ্মীরের ২, ঝাড়খণ্ডের ৪, মধ্য প্রদেশের ৭, রাজস্থানের ১২, উত্তর প্রদেশের ১৪ এবং পশ্চিমবঙ্গের ৭টি আসন রয়েছে।

ষষ্ঠ ধাপে ভোট যে রাজ্য-অঞ্চলে (আসন সংখ্যাসহ)
ষষ্ঠ ধাপে ভোটের লড়াই হবে ৭টি রাজ্য-অঞ্চলের ৫৯টি আসনে। এরমধ্যে বিহারের ৮টি, হরিয়ানার ১০, ঝাড়খণ্ডের ৪, মধ্য প্রদেশের ৮, উত্তর প্রদেশের ১৪, পশ্চিমবঙ্গের ৮ এবং দিল্লি-এনসিআরের (জাতীয় রাজধানী অঞ্চল) ৭টি আসন রয়েছে।

সপ্তম ধাপে ভোট যে রাজ্য-অঞ্চলে (আসন সংখ্যাসহ)
সবশেষ সপ্তম ধাপে ভোট হবে ৮টি রাজ্য-অঞ্চলের ৫৯টি আসনে। এর মধ্যে বিহারের ৮টি, ঝাড়খণ্ডের ৩, মধ্য প্রদেশের ৮, পাঞ্জাবের ১৩, পশ্চিমবঙ্গের ৯, চন্ডিগড়ের ১, উত্তর প্রদেশের ১৩ এবং হিমাচল প্রদেশের ৪টি আসন রয়েছে।

ভোটগ্রহণের পর ২৩ মে (বৃহস্পতিবার) সকাল ৮টা থেকে গণনা শুরু হবে। সেদিনই ঘোষণা হতে থাকবে ফলাফল। অনভিপ্রেত কিছু ঘটে থাকলে ফল আসতে দেরিও হতে পারে।

ভোটার কতো
প্রায় ১৩২ কোটি জনগোষ্ঠীর ভারতে এবার ভোট দেবেন প্রায় ৯০০ মিলিয়ন বা ৯০ কোটি ভোটার। ভোট কেন্দ্র থাকবে ১০ লাখেরও বেশি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ভোট দিয়েছিলেন ৮১ কোটি ৪৫ লাখ ভোটার। এবার নতুন অর্থাৎ ১৮ থেকে ১৯ বছর বয়সী ভোটার প্রায় দেড় কোটি। ২০১২ সাল থেকে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেয়ে আসা তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী থেকে এবার ভোটার ৩৮ হাজার ৩২৫ জন।  

সরকার গড়তে যতো আসন প্রয়োজন
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ জনগোষ্ঠীর দেশ ভারতের সংসদ দ্বিকক্ষ-বিশিষ্ট। এরমধ্যে একটি হলো লোকসভা, এটি নিম্নকক্ষ; আরেকটি রাজ্যসভা, সেটি উচ্চকক্ষ। লোকসভায় মোট আসন ৫৪৫। এর মধ্যে ৫৪৩ আসনে সরাসরি নির্বাচন হয়। বাকি দু’টি আসনে অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান প্রতিনিধিকে মনোনীত করে আনা হয়। সরকার গঠনের জন্য লোকসভায় ২৭২ আসনের প্রয়োজন। রাজ্যসভার সদস্য সংখ্যা ২৫০। এরা রাজ্য বা অঞ্চলগুলোর বিধানসভার সদস্যদের ভোটে রাজ্যসভায় আসেন।

এক নজরে বিগত নির্বাচন
গত ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত ষোড়শ লোকসভা নির্বাচনে নজিরবিহীন জয় পেয়ে সরকার গড়ে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপির জোট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স। ১৯৮৪ সালের পর প্রথমবারের মতো একক দল হিসেবে সরকার গঠনের মতো আসন পেয়ে যায় বিজেপিই। পদ্মফুল ফুটেছিল ২৮২ আসনে। বিজেপি জোটের অন্য দলগুলো পেয়েছিল ৫৫ আসন। অন্যদিকে আগের সরকার চালানো সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস পায় মাত্র ৪৪টি আসন। তাদের জোটের দলগুলো পায় ১৫ আসন। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস পায় ৩৪ আসন। তামিলনাড়ুর প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার দল এআইএডিএমকে পায় ৩৭ আসন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৯
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।