স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দক্ষিঞ্চলের টেক্সাসে দুই শিশু মারা গেছে প্রচণ্ড রকমের ঝড়ে তাদের পারিবারিক গাড়ির ওপরে একটি গাছ পড়ে। এসময় শিশু দু’টির মা-বাবা গাড়ির সামনের সিটে বসে ছিলেন।
বড় ধরনের দুর্যোগটিতে এ পর্যন্ত যারা মারা গেছেন, তারা সবাই দেশটির দক্ষিণাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের অঙ্গরাজ্য মিসিসিপ, টেক্সাস এবং লুইসিয়ানার।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম বলছে, টর্নেডোতে আহতদের কয়েকজনকে রাস্তাঘাটের ধ্বংসাবশেষের কারণে কয়েক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি এখনও।
দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশের পূর্ব উপকূলের দিকে ঝড় ওঠার আগে দক্ষিণাঞ্চলের তিনটি অঙ্গরাজ্যে কমপক্ষে ১১ বার টর্নেডো আঘাত হানে।
এদিকে, দেশটির ওহিও, দক্ষিণ ক্যারোলিনা এবং ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যেও বড় ধরনের টর্নেডো আঘাত হানতে পারে বলে স্থানীয় সময় সোমবার (১৫ এপ্রিল) সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এর আগে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে শক্তিশালী টর্নেডো আঘাত হানতে পারে বলে কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছিল রোববার (১৪ এপ্রিল)। এ পূর্বাভাস অনুয়ায়ী টর্নেডোর আঘাতে প্রাণহানি-আহত ছাড়াও টেক্সাসের এ পর্যন্ত ৬০টি বিল্ডিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার মধ্যে ৫৫টি বিল্ডিংই ছিল আবাসিক। বাকি পাঁচটি বিভিন্ন ধরনের বাণিজ্যিক বিল্ডিং। এছাড়া টর্নেডোতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে টেক্সাসেই।
আরও পড়ুন>> বড় টর্নেডোর শঙ্কা যুক্তরাষ্ট্রে, ঝুঁকিতে ৯ কোটি মানুষ
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৯
টিএ