আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ধনকুবের পেট্রো পোরোশেঙ্কো নির্বাচনে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন। তবে পিছিয়ে নেই টেলিভিশনের কমেডি অভিনেতা থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া ভলোদেমার জেলেনস্কিও।
তিন সপ্তাহ আগে ভোটের প্রথম পর্বে ৩৯ প্রার্থীর মধ্যে লড়াইয়ে রীতিমতো আধিপত্য দেখিয়েছেন জেলেনস্কি।
সম্প্রতি দেশটির রাজধানী কিয়েভের একটি আদালত ভলোদেমার জেলেনস্কির প্রার্থিতা বাতিলের জন্য করা মামলা খারিজ করে দিয়েছেন। অভিযোগ উঠেছিলো, ভলোদেমার জেলেনস্কি রাষ্ট্রপতি বিতর্কের জন্য ঘুষ হিসেবে বিনামূল্যে টিকিট বিতরণ করেছেন।
স্থানীয় সময় গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নিতে কিয়েভের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে উপস্থিত হয়েছিলেন দুই প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী। এদিন প্রায় ৭০ হাজার মানুষের উপস্থিতিতে প্রথমবারের মতো বিতর্কে অংশ নেন তারা।
মঞ্চে উঠে শুরুতে একে অপরের সঙ্গে হাত মেলালেও তা শেষ হয় প্রতিপক্ষের কঠোর সমালোচনার মাধ্যমে।
জরিপে জেলেনস্কি এগিয়ে থাকলেও তাকে রাজনীতিতে একেবারেই অনুপযুক্ত বলে মন্তব্য করেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট।
পোরোশেঙ্কোর অভিযোগ, জেলেনস্কি তরুণ ইউক্রেনীয়দের আবেগ ও হতাশাকে কাজে লাগিয়ে নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার গড়তে স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহার করছেন।
এদিন কিয়েভ স্টেডিয়ামের বেশিরভাগ আসনই দখলে রেখেছিল ক্ষমতাসীন পেট্রো পোরোশেঙ্কোর সমর্থকরা।
তবে এসবে বিচলিত নন রাজনীতিতে নতুন আসা জেলেনস্কি। তিনি বলেন, আমি রাজনীতিবিদ নই। আমি একেবারেই সাধারণ এক মানুষ যে দেশের গোটা সিস্টেমে পরিবর্তন আনতে চাই।
তবে ছেড়ে কথা বলেননি পোরোশেঙ্কোও। জেলেনস্কি সামরিক শক্তির বিষয়টি উপেক্ষা করছেন ও এ কারণে তিনি রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে প্রতিরোধ করতে অক্ষম বলে মন্তব্য করেন পেট্রো পোরোশেঙ্কো।
প্রসঙ্গত, স্থানীয় সময় রোববার (২১ এপ্রিল) ভোটে বিজয়ী পাঁচ বছরের জন্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৯
একে/এমএ