ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

২৪ লাখ গাছ কেটে তৈরি হবে বিমানবন্দর, প্রতিবাদে বিক্ষোভ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৯
২৪ লাখ গাছ কেটে তৈরি হবে বিমানবন্দর, প্রতিবাদে বিক্ষোভ

ঢাকা: ‘জীবনের শ্বাস দাও তুমি, শুরু থেকে শেষ, মানবের তরে তুমি, করে যাও জীবন দান। মানবকূল হায়, কপটতায় জীবন রাঙায়, অযথাই তোমারে বিনাশে, তুমি প্রকৃত বন্ধু যে, বোঝে না তারা মোটে।’

পৃথিবী টিকিয়ে রাখতে বৃক্ষরাজির যে বিকল্প নেই সেটা কবির কথায় নয়, এমনিতেই অনুমেয়। কবির কথার ছন্দের সঙ্গে সমানতালে পরিবেশ রক্ষায় গাছ রোপণের নানা পদক্ষেপ বিশ্বজুড়ে অহরহ।

অথচ অন্তত ২৪ লাখ গাছ কেটেই কিনা বিমানবন্দর নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেপাল।  

নেপাল কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদেই সোমবার (১৯ আগস্ট) সেখানকার পরিবেশ সচেতন কিছু লোক বিক্ষোভে নেমেছে বলে জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

নেপালে একটি মাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রয়েছে। সেটি হলো- রাজধানী কাঠমান্ডুতে অবস্থিত ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। শীত ও বর্ষায় প্রাকৃতিক দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বহু আন্তর্জাতিক ফ্লাইট অন্য দেশে স্থানান্তর করতে হয়।  

এসব সমস্যা বিবেচনা করেই দেশটির রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত নিজগাদ শহরে প্রায় সাড়ে তিনশ’ কোটি ডলার ব্যয়ে আরেকটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। যার নাম হবে নিজগাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, বিমানবন্দরটি তৈরি করতে সেখানকার প্রায় ২৪ লাখ গাছ কেটে ফেলতে হবে। যা পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ বলে মনে করছেন বিক্ষোভকারীরা।

এরই জেরে সোমবার পথে নামেন প্রায় ১০০ জন বিক্ষোভকারী। যারা দেশটির রাজধানী কাঠমান্ডুতে অবস্থিত সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের কার্যালয় এবং দেশটির বন বিভাগের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন।  

বিক্ষোভকারীদের মতে, ২৪ লাখ গাছ কেটে বিমানবন্দরটি তৈরি করা হলে পরিবেশের বিপর্যয় নেমে আসবে। কারণ গাছগুলো কাটা হলে পুরো একটি বন ধ্বংস হয়ে যাবে, যেখানে বসবাস করছে হাজারো বন্যপ্রাণী।  

তাই তাদের দাবি, ‘পরিবেশের ক্ষতি করে বিমানবন্দর তৈরির সিদ্ধান্ত বাতিল করা হোক। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৯
এসএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।