সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) হোয়াইট হাউজে বাহরাইনের যুবরাজ সালমান বিন হামাদ বিন ইসা আল-খলিফার সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ট্রাম্প। এর একদিন আগেই রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) এক টুইট বার্তায় সৌদি হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র রণসাজে প্রস্তুত বলে হুমকি জানান তিনি।
পরের দিন সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, সৌদি তেল স্থাপনায় হামলার পেছনে ইরান জড়িত বলেই তার প্রশাসনের ধারণা। কিন্তু, এ ব্যাপারে তিনি আরও নিশ্চিত হতে চান। একই সঙ্গে এর প্রতিক্রিয়ায় যে কোনো ধরনের যুদ্ধও এড়াতে চান বলে জানান তিনি।
‘আমরা এরই মধ্যে অনেকটা নিশ্চিত যে, ইরান ওই হামলা চালিয়েছে। তারপরও আরও নিশ্চিত হতে চাই। খুব শিগগিরই আপনারা এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আমরা প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে গেছি। কিন্তু, এসব সত্ত্বেও নিঃসন্দেহে আমরা যুদ্ধ এড়াতে চাই। ’
‘আমি কারো সঙ্গে যুদ্ধ চাই না, কিন্তু যে কোনো পরিস্থিতিতে আমরাই এ ব্যাপারে যে কারো চেয়ে বেশি প্রস্তুত’, বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
সৌদি স্থাপনায় হামলার ব্যাপারে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও আরব বিশ্বের আরও অনেক মিত্র দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কথা বলছে বলে জানান ট্রাম্প। শুধু তাই নয়, এ ঘটনায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ফ্রান্স, জার্মানিসহ আরও অনেকের চিন্তাভাবনা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এরপর ট্রাম্প নিজের ‘চিরাচরিত ঢঙে’ বলেন, তবে এটা একটা বিশাল হামলা। আর আমরা খুব সহজেই এর চেয়েও অনেক বড় হামলা চালাতে পারি।
এদিকে ট্রাম্পের সংবাদ সম্মেলনের কিছু আগে এক টুইট বার্তায় তার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মাইক এসপার জানান, সৌদি হামলার জবাব দিতে মার্কিন সামরিক বাহিনী প্রস্তুত হচ্ছে।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সৌদি আরবে বিশ্বের সর্ব বৃহৎ তেল প্রক্রিয়াজাতকরণ স্থাপনা ও তেল খনিতে ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বিশ্বব্যাপী তেলের বাজারে ভয়ানক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা ওই হামলার দায় স্বীকার করলেও যুক্তরাষ্ট্র এ ঘটনায় ইরানকে দায়ী করে। শুধু তাই নয়, এর জবাব দিতে যুক্তরাষ্ট্র রণসাজে প্রস্তুত বলে জানান ট্রাম্প।
অন্যদিকে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের ওই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় জানায়, তেহরানও আমেরিকার সঙ্গে ‘সর্বাত্মক’ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯
এইচজে