শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাতে আনুষ্ঠানিক বিবৃতির মাধ্যমে জরুরি অবস্থার ঘোষণা দেন চিলির প্রেসিডেন্ট সেবাস্তিয়ান পিনেরা। দেশের জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিক্ষোভে নতুন করে সহিংসতার প্রমাণ মিললে জরুরি অবস্থা বহাল রাখা হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন চিলির প্রেসিডেন্ট। তবে,
শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে মেট্রোরেলের ভাড়া পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
ব্যাংক, রাষ্ট্রীয় স্থাপনা ও ট্রেন পোড়ানোর জন্য বিক্ষোভকারীদের তিরস্কার করে সেবাস্তিয়ান বলেন, একদিনের বিক্ষোভেই ছয় কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট করেছে বিক্ষোভকারীরা। তাদের সহিংসতায় হতাহতের ঘটনা এড়াতেই জরুরি অবস্থার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
ইতোমধ্যে দেশটির অন্য শহরের সঙ্গে রাজধানী সান্তিয়াগোর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। শহরের ভেতরেও মেট্রোরেলসেবা বন্ধ রয়েছে।
এদিকে বিক্ষোভকারীরা বলছে, দফায় দফায় ভাড়া বাড়াচ্ছে সরকার। রাজধানী সান্তিয়াগোতে সব কিছুর ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়েছে। সরকার শিগগিরই এর সমাধান না করলে বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
লাতিন আমেরিকার সমৃদ্ধ দেশগুলোর কাতারে প্রথম সারিতেই রয়েছে চিলি। সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার অংশ হিসেবে দেশটিতে ভূগর্ভস্থ অত্যাধুনিক মেট্রোরেল চালু করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৯
কেএসডি/একে