সোমবার (২১ অক্টোবর) এমন তথ্যই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, মেট্রোরেলের ভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করে চিলির সাধারণ মানুষ।
এদিকে বিক্ষোভের তৃতীয় দিন, অর্থাৎ রোববার (২০ অক্টোবর) রাজধানী শহর সান্তিয়াগোর এক ফ্যাক্টরিতে আগুন ধরিয়ে দেয় একদল লুটেরা। ওই আগুনে পুড়ে প্রাণহানি হয় পাঁচজনের।
এদিন বিক্ষোভ চলাকালীন আগুন দেওয়াসহ চলতে থাকে লুটপাট। বিক্ষোভকারীরা অসংখ্য বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় ও মেট্রো স্টেশনে ভাঙচুর করে। ফলে, পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়।
বিক্ষোভকারীদের প্রতিহত করতে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এছাড়া কারফিউ জারি করা হয় চিলির বড় শহরগুলোতে।
ফলে, সান্তিয়াগোতে বন্ধ হয়ে যায় সব ধরনের যানচলাচল। বাতিল হয়ে যায় ফ্লাইটও। এছাড়া বন্ধ ছিল দোকানপাট।
এদিকে চলমান এ বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ। এছাড়া পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে দু’জন গুলিবিদ্ধও হয়েছেন।
এর আগে শনিবার বিক্ষোভকারীরা একটি সুপারমার্কেটে আগুন ধরিয়ে দিলে পুড়ে মারা যান তিনজন।
ওইদিন বিক্ষোভকারী-পুলিশ সংঘর্ষে ১৫৬ পুলিশ ও ১১ বেসামরিক নাগরিক আহত হন। এতে শহরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়।
চিলির সর্ববৃহৎ শহর সান্তিয়াগোতে থাকা ১৩৬টি মেট্রো স্টেশনের মধ্যে ৪১টিতে ভাঙচুর করেছে বিক্ষোভকারীরা। ফলে বন্ধ রয়েছে মেট্রোরেলসেবা। তবে সোমবার থেকে কিছু অংশে মেট্রোরেলসেবা চালু হতে পারে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এর আগে বিক্ষোভ রুখতে শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) দেশের প্রধান পাঁচ শহরাঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করে দেশটির সরকার। তবে এরপরেও দমিয়ে রাখা যায়নি সাধারণ মানুষকে।
জরুরি অবস্থা জারি প্রসঙ্গে চিলির প্রেসিডেন্ট সেবাস্তিয়ান পিনেরা বলেন, গণতন্ত্র রক্ষার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে গণতান্ত্রিক সরকার বাধ্য। যারা গণতন্ত্র ধ্বংস করতে চায়, তাদের প্রতিহত করাই গণতান্ত্রিক আইন।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৯
এফএম/এসএ