সোমবার (২১ অক্টোবর) দেশটির বন্যপ্রাণী সংস্থার মুখপাত্রের বরাতে এ তথ্য জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
জিম্বাবুয়ে পার্ক ও বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র তানাশে ফারাও বলেন, হোয়াঙ্গে ন্যাশনাল পার্কে খাবার পানি খুঁজতে গিয়ে অনেক হাতি মারা গেছে।
আর জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত হাতির আক্রমণে মারা গেছেন অন্তত ২০ জন স্থানীয় বাসিন্দা।
তানাশে ফারাও বলেন, গত সপ্তাহে একটি তৃষ্ণার্ত হাতি পানি খুঁজতে গিয়ে এক স্থানীয় বাসিন্দার বাড়ির উঠানে ঘোরাঘুরি করছিল। লোকটি সে হাতিকে তাড়াতে গেলে তার পায়ের নিচে পিষ্ট হয়ে মারা যান তিনি। অন্য হাতিগুলোর নিরাপত্তা ও খাবারের ব্যবস্থা করতে আমরা কিছু হাতি বিক্রি করে দিতে চাইছি। কিন্তু প্রাণী সংরক্ষণকারীরা এতে রাজি নয়।
এই পার্কে ১৫ হাজার হাতি থাকার কথা থাকলেও এখন আছে ৫০ হাজার হাতি। যা ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি।
পার্ক ও বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র আরও বলেন, খরায় পার্কে পানির সঙ্কটের কারণে খুব বাজে অবস্থা তৈরি হয়েছে। পানির জন্য কর্তৃপক্ষকে অনেক গভীরে খনন করতে হচ্ছে।
গত বছরের মে ও অক্টোবর মাসের তীব্র ‘এল নিনো’ খরায় জিম্বাবুয়ের পানির উৎস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবার নতুন করে খরা শুরু হলো।
সংবাদমাধ্যম বলছে, হাতির অতিরিক্ত সংখ্যার জন্য জিম্বাবুয়ে সরকারকে অনেক ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। কিছু হাতি বিক্রি করে দিলে অন্য হাতিগুলোর জন্য খাবার জোগাড় করা যেতো। কিন্তু বন্য প্রাণী সংরক্ষণকারীরা সবসময় এর বিরোধিতা করে আসছে ।
গত মে মাসে জিম্বাবুয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও চীনের কাছে ৯০টি হাতি বিক্রি করেছে। এতে আয় হয়েছে সাতাশ লাখ ডলার। এ অর্থ প্রাণীদের সংরক্ষণেই ব্যবহার করা হচ্ছে।
অন্যদিকে ‘অ্যাডভোকেটস ফর আর্থ’ সংস্থার পরিচালক লেনিন কাইসাইরা বলেন, পার্কে পানির সঙ্কটের কারণ দেখিয়ে চীন ও পাকিস্তানের কাছে ৩৫টি বাচ্চা হাতি বিক্রি করতে চাইছে সরকার। কিন্তু এই কারণ হাতি বিক্রির জন্য যথেষ্ট নয়।
খনি খননের কাজের কারণে পানির উৎস দূষিত হয়ে গেছে এবং চারণভূমিও কমে গেছে উল্লেখ করে লেনিন বলেন, সরকারও এই সঙ্কটের জন্য সমানভাবে দায়ী।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৯
এফএম/এইচএ/