বুধবার (২৩ অক্টোবর) প্রস্তাবিত এ বিল প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
অপরাধী প্রত্যর্পণ বিলটি পাস হলে কেন্দ্র অর্থাৎ চীন চাইলেই যে কোনো অপরাধীকে হস্তান্তরে বাধ্য থাকতো হংকং। বিক্ষোভকারীদের মতে, এটি আইন আকারে পাস হলে স্বায়ত্ত্বশাসন ভোগ করা হংকংয়ের ওপর চীনের খবরদারি অনেকাংশে বেড়ে যেতো। হুমকির মুখে পড়তো তাদের গোটা বিচার ব্যবস্থা।
এদিকে প্রত্যর্পণ বিল বাতিলের পরও সন্তুষ্ট নয় বিক্ষোভকারীরা। শুরুতে কেবলমাত্র এ বিল বাতিলের দাবিতেই বিক্ষোভের সূত্রপাত হলেও, পরবর্তীতে আরও কিছু নতুন দাবি যুক্ত হয়। তাদের এসব দাবির মধ্যে অন্যতম ছিল- বিক্ষোভকে দাঙ্গা হিসেবে অভিহিত না করা ও এ পর্যন্ত আটকদের অবিলম্বে ছেড়ে দেওয়া, বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালানো পুলিশদের বিচারের আওতায় আনা ইত্যাদি।
তবে আইনসভা বিক্ষোভকারীদের এসব দাবির ব্যাপারে কিছু বলেনি। হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি ল্যাম বলেন, বিক্ষোভকারীদের অন্য দাবি পূরণ আমার হাতে নেই।
অন্যদিকে বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিচ্ছে ‘পাঁচ দফার এক দফাও কম নয়’।
প্রত্যর্পণ বিল বাতিলের দাবিতে গত চারমাস ধরে বিক্ষোভে উত্তাল হংকং। ২০১৪ সালে হওয়া ‘আমব্রেলা প্রোটেস্টে’র পর এটিই হংকংয়ে হওয়া সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ।
এ বিক্ষোভের জেরে হংকং নির্বাহী ক্যারি ল্যামকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা জানিয়েছে চীন।
আরও পড়ুন>>> হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি লামকে সরিয়ে দেবে চীন!
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৯
কেএসডি/ এইচজে