গত সপ্তাহের এক সভায় এই প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। সেখানে ২০২৫ সালের মধ্যে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়।
গত ছয় বছরের মধ্যে এবছর ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সবচেয়ে কম, যা সামনে আরও কমতে পারে। এই অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতকে পাঁচ ট্রিলিয়ন সমমানের অর্থনীতির দেশ তৈরির লক্ষ্য অর্জনের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
মন্দা কাটিয়ে উঠতে ইতোমধ্যে করপোরেট করের হার কমিয়েছে ভারতীয় সরকার। ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার মতো ভারতেও বিনিয়োগের সুযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তবে, ভারতের বিমানবন্দর উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার পরিকল্পনা অনেকটা চীনের মতো। চীন আগামী ২০৩৫ সালের মধ্যে সাড়ে চারশ’ বাণিজ্যিক বিমানবন্দর নির্মাণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। সংখ্যাটি ২০১৮ সালের শেষের দিকে দ্বিগুণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, দেশের উচ্চপর্যায়ের পরামর্শদাতাদের প্রস্তাবনায় স্থানীয়ভাবে প্রশিক্ষিত পাইলটের সংখ্যা বছরে ছয়শ’ করা ও দেশীয় প্লেনের সংখ্যা দ্বিগুণ করে ১২শ’ করার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বিমানবন্দর তৈরি করতে এক ট্রিলিয়ন ভারতীয় মুদ্রা বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত সরকার।
তিন বছর আগে ভারতের ৭৫টি রানওয়ে কার্যকর ছিল। এয়ারলাইনগুলো ছোট শহরগুলোতে যেতে চাইতো না। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্ষতিপূরণের জন্য ভর্তুকি দেওয়া শুরু করেছে মোদী সরকার। এতে আরও ৩৮টি বিমানবন্দর চালু করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া এয়ারলাইনগুলোর সঙ্গে ৬৩টি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চালু করার চুক্তি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৯
এফএম