রোববার (৩ নভেম্বর) রাজধানী কাঠমান্ডুর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সাঙ্কোসি নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে এ তথ্য জানা যায়।
জেলার কর্মকর্তা গোমা দেবি সেমজং সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানান, পাহাড়ি রাস্তায় চলার পথে যাত্রীতে পরিপূর্ণ বাসটি ১৬৫ মিটার নিচের নদীতে পড়ে যায়। এতে এখন পর্যন্ত ৭ শিশুসহ ১৭ জন নিহত হয়েছেন। চালকসহ আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৫০ জন। আহতদের চিকিৎসা চলছে।
গোমা আরও জানান, বাসে ঠিক কতো জন যাত্রী ছিল এ ব্যাপারে বাসমালিক কর্তৃপক্ষের কাছে কোনো তথ্য নেই, ফলে দুর্ঘটনায় কতো জন নিখোঁজ রয়েছেন তা বলা যাচ্ছে না।
খবরে বলা হয়, দুর্ঘটনার পর উদ্ধারকাজে স্থানীয় মাঝিরা পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করে। তারপরও কিছু যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ এখনও দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ নিশ্চিত করতে পারেনি।
বেহাল রাস্তাঘাট, যানবাহন রক্ষণাবেক্ষণের অভাব ও বেপরোয়া গাড়ি চালানোর ফলে প্রায়ই হিমালয়ের এসব অঞ্চলে প্রাণঘাতী সড়ক দুর্ঘটনা হয়ে থাকে। গত মাসেও যাত্রীবাহী আরেকটি বাস নদীতে পড়ে ১১ জন নিহত হন। আহত হন শতাধিক।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৯
এইচজে