ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

বায়ু দূষণ: দিল্লিবিমুখ পর্যটকরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০১৯
বায়ু দূষণ: দিল্লিবিমুখ পর্যটকরা বায়ু দূষণে আচ্ছন্ন দিল্লি, যাচ্ছে না পর্যটকরাও। ছবি: সংগৃহীত

বায়ু দূষণের ফলে অসহনীয় হয়ে উঠেছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এ কারণে ব্যবসার কাজে ভ্রমণসহ পর্যটকরাও এড়িয়ে যাচ্ছেন এ শহর।

বুধবার (৬ নভেম্বর) ভারতের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।  

ট্রাভেল এজেন্টদের বরাতে সংবাদমাধ্যম জানায়, দূষণের মাত্রা রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ায় ব্যবসার কাজে ভ্রমণসহ পর্যটকরাও এড়িয়ে যাচ্ছেন দিল্লিকে।

কমে গেছে হোটেল ও ফ্লাইট বুকিং।  

দিল্লির বায়ু বরাবরই দূষিত ছিল। সম্প্রতি দীপাবলিতে বাজি পোড়ানো, হরিয়ানা ও পাঞ্জাব রাজ্যের কৃষকরা ক্ষেতে নাড়া পোড়ানোর কারণে বায়ু দূষণ রেকর্ড ছাড়িয়েছে।

যাত্রা অনলাইনের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) শরৎ ধল বলেন, ব্যবসার কাজে যাদের দিল্লি আসার কথা, তারা তাদের সময় পিছিয়েছে। পর্যটকরাও হিমালয় এলাকা ও রাজস্থান ভ্রমণে যাচ্ছেন। দূষণের কারণে উত্তর ভারতে এই মুহূর্তে যাচ্ছেন না তারা।  

দিল্লিতে দূষণ সব মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। স্ট্রোক, হৃদরোগ ও ফুসফুসে ক্যানসারসহ সব ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়েছে। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের যৌথ উদ্যোগেও দূষণ কমানো যাচ্ছে না। বিশেষ করে কৃষকরা ক্ষেতের নাড়া পোড়ানো বন্ধ না করায় বায়ু দূষণ বেড়েই চলেছে।

ট্রাভেল ওয়েবসাইট ইক্সিগোর এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও কাতারসহ অন্য দেশগুলোর তুলনায় দিল্লি ভ্রমণের ব্যাপারে অনুসন্ধান কমে গেছে ৪৪ শতাংশ। অপরদিকে দিল্লি থেকে অন্য জায়গায় ভ্রমণের ব্যাপারে খোঁজ নেওয়ার পরিমাণ বেড়েছে ২৫ শতাংশ। আর দিল্লি থেকে মুম্বাই ও বেঙ্গালুরুসহ ভারতের অন্য শহরে যাওয়ার বুকিংয়ের পরিমাণ ২০ শতাংশ বেড়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে অর্থনৈতিক মন্দা কাটানোর চেষ্টা করছেন। এসময় দিল্লির বায়ু দূষণ নতুন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের বেশ কয়েকটি শহরে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ছিল ২০ ইউনিটের নিচে। একিউআই ৫০ ইউনিট পর্যন্ত নিরাপদ ধরা হয়। আর দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় একিউআই ছিল ২শ’ ইউনিটের বেশি।    
   
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৯
এফএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।