কায়রো: মিসরে চতুর্থ দিনের মতো বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। চারদিনের এই বিক্ষোভে অন্তত ১৩ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
দেশটি থেকে সেনাবাহিনীর শাসন বন্ধে এবং প্রতিবাদকারীদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য বিক্ষোভ করে যাচ্ছে প্রতিবাদকারীরা।
মিসরের সেনাবাহিনীর হাতে বেসামরিক মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন।
কায়রোর তাহরির স্কয়ার থেকে প্রতিবাদকারীদের সড়িয়ে দিতে পুলিশ এলোপাথারি লাঠিচার্জ করছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিক্ষোভের মুখে ক্ষমতা ত্যাগ করেন সাবেক শাসক হোসনী মোবারক। পরবর্তীতে দেশটির রাষ্ট্রক্ষমতা নেয় সেনাবাহিনী। নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেয়নি সেনাবাহিনী।
কিন্তু কিছুদিন পূর্বে সেনাবাহিনী বিক্ষোভকারীদের মতামত এবং দাবি উপেক্ষা করেই সাধারণ নির্বাচন দেয়। আর এই নির্বাচনে সেনাসমর্থিত সরকারই আবারও রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেন, মিসরের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র গভীর উদ্বিগ্ন। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর উচিত প্রতিবাদকারীদের দাবির প্রতি শ্রদ্ধা রাখা।
এদিকে প্রতিবাদকারীরা জানায়, সোমবার সকালের দিকে পুলিশি লাঠিচার্জের সময় চারজন পুলিশ প্রতিবাদকারীদের হাতে আটক হয়েছেন।
তাহরির স্কয়ার থেকে ফোনে আবু এলা নামে একজন প্রতিবাদকারী একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে জানায়, ‘আমাদের উপর চড়াও হওয়ার সময় একটি পুলিশের গাড়ির ভেতর আমরা ওই চারজন সেনাকে পাই। ক্ষুব্ধ প্রতিবাদকারীরা তাদের টেনে হিচরে বের করে নিয়ে আসে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১১