সিউল: কম্যুনিস্ট রাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং ইল মারা যাওয়ার সংবাদ প্রচারিত হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে দেশটি। উত্তর কোরিয়ার প্রতিবেশী এবং চরম বৈরি রাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সংবাদ মাধ্যম জানায়, উত্তর কোরিয়া সোমবার তাদের পূর্ব উপকূলে স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়।
এদিকে কিম জং ইল এর মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী সর্তকাবস্থায় আছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থাটি।
এদিকে কিম জং ইলের মৃত্যুর পর অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির সম্ভাবনায় উদ্বিগ্ন দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহবান জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মুং বাক।
কিম জং ইলের মৃত্যুর পরবর্তী পরিস্থিতিতে দুই কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক অবনতির হতে পারে এই আশংকায় দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার সর্তকতা অবলম্বন করছে।
চরম বৈরি এই দুই দেশের মধ্যে ১৯৫৩ সালে সর্বশেষ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এর পর থেকে দুই দেশের মধ্যে অস্ত্রবিরতি কার্যকর রয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি অফিসের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সোমবার টেলিভিশনে প্রচারিত সংবাদ সম্মেলনে জানান, প্রেসিডেন্ট লি মুং বাক দেশের জনগণকে তাদের প্রাত্যহিক কর্মকাণ্ড কোন প্রকার উদ্বেগ ছাড়াই চালিয়ে যেতে বলেছেন।
কিম জং ইলের মৃত্যুর সংবাদ প্রচারিত হওয়ার পর দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট দেশের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের জরুরি বৈঠক আহবান করেন এবং সকল সরকারি কর্মকর্তাকে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন।
এছাড়া তিনি কিম জংয়ের মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হওয়ার দুই ঘণ্টার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে টেলিফোনে কথা বলেন বলে জানায় এই মুখপাত্র।
কিম জংয়ের মৃত্যুর পরবর্তী পরিস্থিতিকে ঘনিষ্ঠ ভাবে পর্যবেক্ষণ এবং সহযোগিতা করার জন্য এই দুই নেতা একমত হয়েছেন বলে জানায় মুখপাত্র।
দুই কোরিয়ার সীমান্তে আকাশ থেকে পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে এবং সীমান্তরেখা বরাবর নজরদারি এবং নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলে জানায় দক্ষিন কোরীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মূখপাত্র। উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর যে কোন নড়াচড়ার প্রতি তারা গভীরভাবে দৃষ্টি রাখছে বলে জানান তিনি।
তবে এখন পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর কোন নির্দিষ্ট দিকে চলাফেরা শনাক্ত করা যায়নি বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১১