ইসলামাবাদ: পাকিস্তানে পরিবারের সম্মান বাঁচাতে গত এক বছরে অন্তত ৬৭৫ জন নারী নিহত হয়েছেন। ২০১১ সালের প্রথম নয় মাসেই সবেচেয়ে বেশি নারীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানায় পাকিস্তানভিত্তিক একটি মানবাধিকার সংস্থা।
মানবাধিকার সংস্থাটি সম্প্রতি পাকিস্তানে নারীর প্রতি সহিংসতা বিষয়ক একটি সমীক্ষা চালায়। এই সমীক্ষায় আরও বলা হয়, পাকিস্তানের নারীরা প্রতিনিয়তই বিভিন্ন সহিংসতার শিকার হচ্ছেন।
সংস্থাটির একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা একটি আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থাকে জানায়, ‘গত জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানে শুধু পারিবারিক সন্মান রক্ষার কারণে ৬৭৫ জন নারী এবং মেয়েকে জীবন দিতে হয়েছে। এছাড়াও ১৮ বছর বয়সের নীচে ৭১জন শিশুকে মারাত্বক আহত করা হয়। ’
সংস্থাটির আরও একজন কর্মকর্তা জানায়, অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরে তথ্য এখনও সংগ্রহ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে পুলিশ এবং শিকার নারীর পরিবার থেকে কোনো সহায়তা করা হয় না।
এর আগে এ সংস্থাটি ২০১০ সালের পাকিস্তানে নারী হত্যার আরও একটি তালিকা প্রকাশ করে। সেই তালিকায় ২০১০ সালে নিহত নারীর সংখ্যা দেখানো হয় ৭৯১ জন।
জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪৫০ নারীকে অবৈধ সম্পর্কের অজুহাতে হত্যা করা হয়। এছাড়াও ১২৯ জন নারীকে জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়া হয়। এদের মধ্যে অনেকেই মৃত্যুর আগে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। মৃতদের মধ্যে অন্তত ১৯জন নারী আছেন যারা তাদের নিজ সন্তানের হাতে মারা গেছেন।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের পাকিস্তানের পরিচালক আলী দেওয়ান হাসান বলেন, রাষ্ট্র আইন প্রয়োগে ব্যর্থ হচ্ছে। কারণ আদিবাসী এভং স্থানীয় বয়স্কদের কাছে আইন জিম্মী হয়ে আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১১