সিউল: উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং ইলের মৃত্যুর খবর যথাসময়ে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা জানাতে ব্যর্থ হয়েছে বলে স্বীকার করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা।
উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং ইল গত শনিবার মারা যান।
কিম জং ইলের মৃত্যুর খবর যথাসময়ে না পাওয়াকে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার ব্যর্থতা হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যমগুলো।
১৯৫৩ সালে দুই কোরিয়ার মধ্যে লড়াই বন্ধ হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও যুদ্ধ সমাপ্ত হওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়নি কোনো পক্ষই।
দুই কোরিয়ার মধ্যে বজায় থাকা ‘আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ পরিস্থিতি’তে কিম জং ইলের মৃত্যুর দুই দিনেও কোনো সংবাদ জানতে না পারাকে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর বিশাল অযোগ্যতা বলে বিবেচনা করছে সিউল।
উত্তর কোরিয়ার ঘোষণার পরই প্রথম কিম জং ইলের মৃত্যুর খবর অবহিত হন বলে দেশের প্রতিরক্ষা বিষয়ক পার্লামেন্টারি কমিটির সামনে স্বীকার করেন দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ।
এছাড়া পার্লামেন্টারি কমিটির সামনে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম কওয়ান জিনও স্বীকার করেন যে তিনি উত্তর কোরীয় নেতার মৃত্যুর খবর প্রথম অবগত হন টেলিভিশনে সংবাদ দেখার সময়। প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে এ ব্যাপারে পার্লামেন্টারি কমিটির প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় বলে জানায় সংবাদ মাধ্যম।
তিনি প্রতিরক্ষা বিষয়ক পার্লামেন্টারি কমিটির সামনে উপস্থিত হয়ে বলেন কিম জং ইলের মৃত্যু খবর সময়মত না পাওয়া গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সীমাবদ্ধতা। এ প্রেক্ষিতে তিনি দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সক্ষমতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন বলে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম।
পার্লামেন্টারি কমিটির সদস্যরা এ সময় বলেন কিম জং ইলের মৃত্যুর খবর যথাসময়ে না প্রকাশ হওয়ায় প্রমানিত হয় দক্ষিণ কোরিয়ার দায়িত্বশীল কেউই কিম জং ইলের মৃত্যু স্বমন্ধে অবগত ছিল না।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১১