ঢাকা: রাজনৈতিক আক্রমনের কৌশলের অংশ হিসেবেই তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ইরাকের ভাইস প্রেসিডেন্ট । এছাড়া তার বিরুদ্ধে আনা ইরাকি প্রেসিডেন্টের সকল অভিযোগকে প্রত্যাখান করেন তিনি।
মঙ্গলবার ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় সালাহ-আল -দিন শহরে দেশটির আধা স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল কুর্দিস্তানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এ মন্তব্য করেন।
তার বিরুদ্ধে জারি করা এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানার উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য সমন্ধে তিনি অবগত উল্লেখ করে একে তার বিরুদ্ধে একটি রাজনৈতিক আক্রমন হিসেবে দাবি করেন।
ইরাকের শিয়া অধ্যুষিত সরকার গত সোমবার সুন্নি সম্প্রদায়ভূক্ত দেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট তারেক আল হাশিমির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদদ দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাদের হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ তোলা হয়।
হাশিমি ইরাকের সবচেয়ে বয়োজেষ্ঠ সুন্নি রাজনৈতিক নেতা। ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার পরপরই ইরাকের শিয়া প্রাধান্য পূষ্ট সরকার এ পদক্ষেপ নেয়। এ পদক্ষেপের ফলে দেশটিতে জাতিগত বিভেদ-বিদ্বেষ আবারো মাথাচাড়া দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে ইরাকের শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতারা দেশের এই নতুন রাজনৈতিক সঙ্কটের প্রেক্ষিতে জরুরি আলোচনা বৈঠকের ডাক দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী মালিকি দেশের সকল রাজনৈতিক গ্রুপের প্রধান ও সিনিয়র রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে বৈঠক আহবান করেছেন। বৈঠকে দেশের বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক সঙ্কটসহ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার সকল মতভেদ নিয়ে আলোচনা করা হবে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন মালিকির তথ্য উপদেষ্টা আলী মুসাভি।
এদিকে ইরাকের পার্লামেন্টের স্পিকার ওসামা আল নুজাইফি একটি জাতীয় সম্মেলনের আহবান জানিয়েছেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট হাশিমির মতই সুন্নী সম্প্রদায়ভুক্ত পার্লামেন্টের স্পিকার নুজায়ফি ইরাকের সুন্নি রাজনৈতিক দলগুলোর জোট ইরাকিয়া ব্লকের নেতা।
দেশ এখন সঙ্কটকাল অতিক্রম করছে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। ইরাকের রাজনীতির এই অপ্রত্যাশিত এবং উদ্বেগপূর্ণ ঘটনাপ্রবাহের প্রেক্ষিতে তিনি এ আহবান জানালেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১১