দামেস্ক: সিরিয়ায় নতুন করে বিক্ষোভ শুরুর পর দুই দিনে প্রাণহানির সংখ্যা ২০০ জন ছাড়িয়ে গেছে। স্থানীয় মানবাধিকার কর্মীরা বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে বিক্ষোভের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার সহিংসতায় কমপক্ষে ৮৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে, যার বেশিরভাগই ঘটেছে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ইবলিদে। স্থানীয় কো-অরডিনেশন কমিটির দেওয়া তথ্য এটি।
এর মধ্যে ইন্টারনেটে একটি ভিডিও দেখা গেছে, হোমস শহরে রাস্তায় ছিন্ন ভিন্ন অবস্থায় একটি বালকের শরীর পড়ে আছে। নিরাপত্তা বাহীনির ভারী গোলার আঘাতে এমন হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলেও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বেসামরিক লোকজনের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। তবে হতাহতের সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি।
জাতিসংঘের হিসাব মতে, গত মার্চে সিরিয়াতে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ বিরোধী বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে এ যাবত ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
কিন্তু সরকার বারবার দাবি করে আসছে, কিছু সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ এসব হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে বেড়াচ্ছে।
লন্ডন ভিত্তিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, উত্তর-পশ্চিমের প্রদেশ ইবিলসে মঙ্গলবারের সহিংসতায় ২৩ জন মানুষ নিহত হয়েছে।
তবে বিরোধীদের দাবি সংঘর্ষে তাদের শতাধিক সহযোদ্ধা আহত অথবা নিহত হয়েছে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, সিরিয়ার বিমান ও নৌবাহীনি দেশে বিদেশি আগ্রাসন প্রতিহত করার প্রস্তুতি হিসেবে মহড়া দিয়েছে।
এর আগে গত সোমবার ইবলিদে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে যাওয়ার সময় ৭০ জনেরও বেশি সেনা বিরোধীদের আক্রমণে নিহত হয়েছে।
এর মধ্যে সিরিয়ার নবগঠিত জাতীয় কাউন্সিল সরকারের সব প্রতিশ্রুতিকে কূটচাল বলে অভিহিত করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মুহূর্তে সরকার রাজপথ থেকে সেনা প্রত্যাহার না করলে অচীরেই অনেক অঞ্চল তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১১