দামেস্ক: আরব লীগের পর্যবেক্ষণ মিশন সিরিয়ায় তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। মিশনের সদস্যরা দেশটিতে বিক্ষোভকারীদের উপর সরকারি বাহিনীর অভিযান বন্ধের সত্যতার ব্যাপারে অনুসন্ধান করবেন বলে জানায় সংবাদ মাধ্যম।
মিশনের প্রধান একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমকে মঙ্গলবার জানান, তারা সিরিয়ার সবচেয়ে সহিংসতা কবলিত হোমস শহরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন।
সোমবার হোমস শহরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩০ জন লোক নিহত হয় বলে জানায় বিক্ষোভকারীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সংঘর্ষে বাবা আমর এলাকাতেই কমপক্ষে ১৮ জন লোক নিহত হয়। এছাড়া হোমস শহরের অন্যান্য এলাকায় ১১ জন লোক নিহত হয়। হোমসের কাছাকাছি তালবিসেহ এলাকায় এক নারী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা।
সিরিয়ার সরকার বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর উভয়পক্ষের সংঘর্ষে দেশটিতে এ যাবৎ প্রায় ৫ হাজার লোক নিহত হয় বলে জানায় জাতিসংঘ।
আরবলীগের প্রতিনিধিদের সফর শুরু হওয়ার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার হোমস শহর থেকে কিছু কিছু ট্যাংক প্রত্যাহার করা করা হয়েছে বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা।
সোমবারের সংঘর্ষের পর হোমস শহরের অন্তর্গত বাবা আমর জেলা থেকে মঙ্গলবার ভোর থেকে সাজোয়া যান প্রত্যাহার শুরু হয়েছে।
লন্ডনভিত্তিক একটি মানবাধিকার সংগঠন জানায়, এলাকাটি থেকে ১১ টি ট্যাংক মঙ্গলবার দিনের শুরুতে এলাকা ত্যাগ করে। তবে বাবা আমর এলাকাটিতে আরও ট্যাংক সরকারি বিভিন্ন স্থাপনার আড়ালে লুকানো আছে বলে তারা একটি সংবাদ সংস্থাকে জানায়।
আরবলীগের পর্যবেক্ষক দলের সদস্যদের মধ্যে রয়েছে ৫০ জন পর্যবেক্ষক এবং ১০ জন কর্মকর্তা। তারা কায়রোস্থ আরব লীগের সদর দপ্তর থেকে সোমবার সিরিয়ায় অবতরণ করে। তাদের সিরিয়ায় প্রবেশের কয়েকদিন আগে আরব লীগের ৯ সদস্যের একটি অগ্রবর্তী দল দামেস্কে পৌছায়।
দামেস্ক পর্যবেক্ষকদের সিরিয়ার সর্বত্র স্বাধীনভাবে ঘোরার অনুমতি দিয়েছে। তবে পর্যবেক্ষকদের সিরিয়ান কর্তৃপক্ষের দেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
পর্যবেক্ষক মিশনের প্রধান সাবেক সুদানী জেনারেল মোস্তফা ডাবি বলেন, ‘তারা এখন হোমসের দিকে যাচ্ছেন। সিরিয়ান কর্তৃপক্ষ তাদের সহায়তা করতে আন্তরিক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১১