ঢাকা, বুধবার, ১২ ভাদ্র ১৪৩২, ২৭ আগস্ট ২০২৫, ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

রাষ্ট্রের ভেতরে রাষ্ট্র গঠনের অধিকার কারও নেই: গিলানি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২:৩২, ডিসেম্বর ২২, ২০১১
রাষ্ট্রের ভেতরে রাষ্ট্র গঠনের অধিকার কারও নেই: গিলানি

ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি বলেছেন, ‘কোনও প্রতিষ্ঠানই রাষ্ট্রের ভেতর রাষ্ট্র গড়ার অধিকার রাখে না। ’ গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করার জন্য গভীর  ষড়যন্ত্র চলছে বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।



পাকিস্তানে সেনাবাহিনী এবং সরকারের অভ্যন্তরে ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে এই প্রথম প্রকাশ্যে এমন মন্তব্য করলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেছেন, ‘জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে তারা নির্বাচিত সরকার চায় নাকি স্বৈরতান্ত্রিক শাসনে ফিরে যাবে। আমি আজ পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, পাকিস্তানে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার  যড়যন্ত্র চলছে। ’
 
বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর জন্মবার্ষিকী স্মরণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ সব বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তিনি।

অপ্রকাশিত ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমি তাদের বলতে চাই, সরকারে বা বিরোধীদলে এবং জনগণের মাঝে যেখানেই থাকি না কেন, আমরা পাকিস্তানের জনগণের অধিকার আদায়ের পক্ষে সব সময়ই লড়ব। ’

তবে সরকার উৎখাতের এই ষড়যন্ত্রের পেছনে কারা জড়িত সে স্বমন্ধে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি।

সেনাবাহিনী এবং পাকিস্তানের বেসামরিক সরকারের অভ্যন্তরের ক্ষমতার দ্বন্দ্বকে স্বীকার করে নেওয়া তার এই বক্তব্যে তিনি দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, ‘কোনও প্রতিষ্ঠানই রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে রাষ্ট্র হতে পারে না। ’

এসময় তিনি আরও যোগ করেন, রাষ্ট্রের কেউই দাবি করতে পারে না, তারা কোনও সরকারের অধীনে নয়।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়সহ দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই প্রধানমন্ত্রীর অধীনস্থ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রের প্রত্যেকেই সরকারের অধীন এবং তারা সরকারের অধীনস্থ থাকবে কারণ, সরকার পাকিস্তানের সাধারণ জনগণ কর্তৃক মনোনীত এবং তাদের ভোটে নির্বাচিত। ’

মার্কিনীদের ভিসা জটিলতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ভিসা দেওয়ার ব্যাপারে আমাদের প্রশ্ন করা হয়... কিন্তু আমি তাদের প্রশ্ন করতে চাই, ওসামা বিন লাদেন কীভাবে ছয় বছর ধরে পাকিস্তানে থাকতে পারল?’

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ব্যতিক্রমী এই মন্তব্য এমন সময়ে আসল যখন বহুল আলোচিত এবং বিতর্কিত ওয়াশিংটন স্মারকলিপি কেলেংকারি নিয়ে পাকিস্তানের বেসামরিক সরকার এবং সামরিক বাহিনী ক্ষমতার দ্বন্দ্বে পরস্পর মুখোমুখি অবস্থানে।

এছাড়া, গিলানির এখনকার বক্তব্যে এটা স্পষ্ট যে, সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে তিনি যথেষ্ট হুমকির মুখে রয়েছেন। এমনকি তার ক্ষমতায় টিকে থাকা নিয়েও অনেকে সংশয় প্রকাশ করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।