আঙ্কারা: ফ্রান্সের পার্লামেন্টে অটোমান তুর্কিদের হাতে আর্মেনীয়দের ‘গণহত্যাকে’ অস্বীকার করা বেআইনি অভিহিত করে আইন হতে যাচ্ছে। এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ফ্রান্স এবং তুরস্কের মধ্যে দ্বন্দ্ব এখন চরমে।
ফ্রান্সের এই উদ্যোগে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সামরিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে আঙ্কারা। সেই সঙ্গে সর্তক করে দিয়ে বলেছে, এর ফলে ফ্রান্স এবং তুরস্কের সম্পর্কে অপুরণীয় ক্ষতি হতে পারে।
তুর্কি প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ফ্রান্সের এই পদক্ষেপকে বর্ণবাদী, বৈষম্যমূলক এবং অমূলক ভীতির রাজনীতি হিসেবে অভিহিত করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার ফ্রান্সে নিযুক্ত তুর্কি রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়ে ন্যাটো জোটভুক্ত এই দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সফর বাতিল ঘোষণা করেছেন তিনি।
তিনি এও বলেছেন, তুর্কি আকাশ এবং জলসীমা ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবরোধ আরোপ করা হবে এবং তুরস্কের বন্দরে ফ্রান্সের সামরিক জাহাজ ভিড়তে দেবে না।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯১৫ সালে অটোমান তুর্কিদের হাতে আর্মেনীয় নিহত হওয়ার ঘটনাকে গণহত্যা এবং একে অস্বীকার করা বেআইনি বলে অভিহিত করে ফ্রান্সের পার্লামেন্টে একটি বিলের পক্ষে ভোট হয়েছে। এটি আইন হলে, এর অস্বীকারকারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিক্রিয়ায় তুরস্ক ২০১২ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত যৌথ অর্থনৈতিক সম্মেলন বয়কট করবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী এরদোগান ।
এই পরিস্থিতিতে উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা উদ্বেগে পড়েছে। দুই দেশের মধ্যে বাৎসরিক বাণিজ্য প্রায় এক হাজার ২শ কোটি ইউরো।
এদিকে ন্যাটোর এই দুই গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারের মধ্যে সম্পর্কের অবনতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা দু’দেশকেই উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১১