ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ ভাদ্র ১৪৩২, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ০৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

লিখিত যোগাযোগে বেশি মিথ্যাচার করে মানুষ!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৩৬, ডিসেম্বর ২৩, ২০১১
লিখিত যোগাযোগে বেশি মিথ্যাচার করে মানুষ!

ঢাকা: লিখিত যোগাযোগে সবচে বেশি মিথ্যাচার করে মানুষ। তবে সে হিসেবে মানুষ মুখোমুখি বা ভিডিও অথবা অডিও যোগাযোগে অনেক কম মিথ্যা কথা বলে।



সাম্প্রতিক গবেষণায় এই তথ্য পাওয়া গেছে। আগামী বছর বিজনেস এথিক্স সাময়িকীতে এই গবেষণা পত্র প্রকাশ করা হবে।

গবেষণাটি করেছে ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সুডার স্কুল অব বিজনেস।

১৪০ জন শিক্ষার্থীকে দু’টি দলে বিভক্ত করে পর্যব্ক্ষণ করা হয়। একটি গ্রুপকে দেওয়া হয় স্টকব্রোকারের ভূমিকা আর অপর গ্রুপকে দেওয়া হয় শেয়ার ক্রেতার ভূমিকা।

স্টকব্রোকারদের বলা হয়, এক সপ্তাহের মধ্যে যে শেয়ারে দর ৫০ শতাংশ কমে যাবে সেটি বেচতে হবে। সেই সঙ্গে যে শেয়ারের বাজার দর সবচে খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেগুলো বিক্রির নির্দেশনা দেওয়া হয়।

কাজ শুরুর পর দেখা গেল, শেয়ার বেচা-কেনা নিয়ে কথা বলার সময় কোনও শেয়ারের গুণাগুণ বা বর্তমান বাজারে খারাপ শেয়ারের ব্যাপারে তথ্য দিতে গেলে মিথ্যা তথ্য দেয় ব্রোকাররা। আর এটি যখন ঘটে লিখিত বার্তার মাধ্যমে তখন তারা সবচে বেশি মিথ্যাচার করে।

ভিডিও, অডিও বা মুখোমুখি কথা বলার সময় তুলনামূলক সৎ থাকতে দেখা গেছে ব্রোকারদের।

এই পর্যবেক্ষণে একটা বিষয় স্পষ্ট হলো- লিখিত যোগাযোগ কখনই মানুষের আবেগকে নিখুঁতভাবে বিনিময় করতে পারে না। এর মধ্যে কপটতা বা প্রতারণার সুযোগ থাকে। লেখার মধ্যে তোতলানো যায় না, হাত কচলানো যায় না বা ভ্রুকূটিও করা যায় না। এই কারণে গবেষকরা লিখিত যোগাযোগকে ‘দুর্বল মাধ্যম’ বলে অভিহিত করেছেন।

তবে এই গবেষণার মধ্যে আরও মজার একটা বিষয় লক্ষ্য করেছেন বিজ্ঞানীরা। যখন শেয়ার ক্রেতাদের জানানো হলো, স্টকব্রোকাররা তাদের সঙ্গে মিথ্যাচার করেছেন, তখন তারা বেশ রেগে গেল। কিন্তু যখন জানল লিখিত বার্তায়ও তাদের মিথ্যা বলেছে, তখন আরও বেশি রেগে গেল যতো না রাগল মুখোমুখি আলোচনায় মিথ্যা বলায়।

গবেষণা পত্রের সহ-সম্পাদক অধ্যাপক রোনাল্ড সেনফেটালি বলেন, ‘এই পর্যবেক্ষণটা সত্যিই বিস্ময়কর। ’

তিনি বলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে সম্পর্ক গঠন এবং আস্থা অর্জনের জন্য কারও সঙ্গে মুখোমুখি কথা বলা অনেক বেশি কার্যকর। এই পদ্ধতি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া প্রশমনে ভ্যাক্সিনের মতো কাজ করে। সামনা-সামনি মিথ্যা কথা বললে মানুষ এখনও রেগে যায় অথবা বিচলিত হয়ে পড়ে। কিন্তু লেখার মতো দুর্বল মাধ্যমে যোগাযোগের সময় মিথ্যা বললে আরও বেশি ক্রুদ্ধ হয়ে পড়ে। ’

সুতরা বলা যায়, কেউ যদি অ্যাপয়েন্টমেন্টর কথা বলে জানায় ‘আমি এখন এখানে’, আর এই বার্তা যদি দেয় ফোনের বদলে ক্ষুদে বার্তায়, তাহলে ধরে নিতে হবে জায়গায় পৌঁছতে তার এখনও কমপক্ষে ২০ মিনিট দেরী হবে। গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী এই ধারণা মোটেও অমূলক নয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।