খার্তুম: সুদান সেনাবাহিনীর হাতে দেশটির দারফুর প্রদেশের বিদ্রোহী নেতা নিহত হয়েছে। বিদ্রোহীরা রাজধানী খার্তুমের দিকে এগুচ্ছিল বলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়।
সুদানের সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদ সংস্থা জানায়, ‘সুদানের সেনাবাহিনী ঘোষণা করেছে যে তারা আজ(রোববার) বিদ্রোহীদের নেতা খলিল ইব্রাহিমকে হত্যা করেছে। উত্তর কারদোভানের পশ্চিম ওয়াদবানদায় এ ঘটনা ঘটে। ’
খলিল ইব্রাহিম দেশটির জাস্টিস অ্যান্ড ইকুয়ালিটি মুভমেন্টের (এইএম) নেতৃত্ব দিতেন। দারফুর অঞ্চলের সবচেয়ে বড় অস্ত্র সমৃদ্ধ সংগঠন এটি। সম্প্রতি সুদানের বেশকিছু হামলার জন্য এই সংগঠনটিকে দায়ি করা হয়।
শনিবার সেনাবাহিনী জানায়, ‘জেইএম উত্তর কারদোভান রাজ্যের তিনটি এলাকাতে হামলা চালিয়েছিল। তাদের ওই হামলায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। ’
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল সওয়ারমি খালিদ বলেন, ‘বিদ্রোহীরা যে এলাকাগুলোতে আক্রমন করেছিল সেখানে নিরাপত্তা বাহিনী অনুপস্থিত ছিল। তারা স্থানীয় মানুষদের উদ্দেশ্য করেই হামলা চালায়। ’
খলিল ইব্রাহিমের মৃত্যু যদি বিদ্রোহী গ্রুপের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয় তাহলে বিদ্রোহীদের জন্য এটি একটি বড় ধরণের ধাক্কা হবে। যদিও তারা সুদানের বিভিন্ন সংঘর্ষ প্রবণ এলাকাগুলোতে নিজেদের অবস্থান সুসংসহ করে রেখেছে।
সশ্বস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র আরও জানান, ‘ইব্রাহিম এবং অন্যান্য নেতারা দক্ষিণ সুদানে প্রবেশ করার চেষ্টা করেছিল।
তবে জেইএম মুখপাত্র জিবরাইল বিলাল বলেন, ‘বৃহস্পতিবার একটি গ্রুপ এন নাহুদে প্রবেশ করেছে। প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরকে হত্যার উদ্দেশ্যে তারা আসে। ’
খলিল ইব্রাহিম ছিলেন সুদানের জাঘাওয়া আদিবাসী গোষ্ঠির সদস্য। কিন্তু তিনি অন্য আদিবাসী গ্রুপগুলোর সঙ্গেও সংঘর্ষে জড়িয়ে পরেন। এছাড়াও দেশটির ইসলামী দলগুলোও ইব্রাহিম খলিলকে সমর্থন জানায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১১