হাভানা: নতুন বছরকে সামনে রেখে তিন হাজার বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে কিউবা। বন্দীদের মধ্যে কয়েকজন রাজবন্দীও আছেন বলে জানিয়েছে কিউবার কর্তৃপক্ষ।
গত সপ্তাহে কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল ক্যাস্ত্রো এই বন্দী মুক্তির বিষয়টি ঘোষণা করেন। বুধবার এক সরকারি গেজেটে বন্দী মুক্তির বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়।
রাউল ক্যাস্ত্রো জানান, ‘মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। রোমান ক্যাথলিক চার্চের কর্মকর্তা এবং বন্দীদের আত্মীয়স্বজনদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে তাদের মুক্তি দেওয়া হলো। ’
কিউবান কমিশন অন হিউম্যান রাইটসের প্রধান এলিজারদো সানচেক বলেন, ‘আমরা হিসেব করে দেখেছি কিউবার বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আড়াই হাজারেরও বেশি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ’
মুক্তি পাওয়া বন্দীদের মধ্যে অনেকেরেই বয়স ৬০ বছরে বেশি। বন্দীদের মধ্যে সাতজন রাজবন্দীকেও মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
মানবাধিকার গ্রুপের দেওয়া তথ্য মতে, ‘সাত রাজবন্দীর মধ্যে আছেন অ্যালেক্সিস রামিরেজ রেইস, মোদেস্তো অ্যালেক্সি মার্টিন তোরেস, কার্লোস মার্টিন বালেস্টার, ওয়ালফ্রিডো রড্রিক পিলোতো. দোরনি মার্টিন কারভাজাল, ইরাস গনজালেস তোরনা এবং গুয়েরা মারকুইজ। ’
মানবাধিকার সংস্থাটি আরও জানায়, ‘কিউবার জেলহাজতে এখনও সত্তর থেকে আশি হাজার বন্দী আছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য যে ঘটনাটি ঘটে তা হলো বনিয়াতো দ কিউবা প্রদেশে। সেখানে ১০ জন বন্দী অনশণ শুরু করে দেয়। এছাড়াও বিভিন্ন প্রদেশের জেলগুলোতেও এরকম প্রতিবাদের ঘটনা ঘটেছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১১