তেহরান: হরমুজ প্রণালী বন্ধ করলে তা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলে পাল্টা হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরান প্রয়োজনে হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেবে বলে হুমকি দেওয়ার পরদিনই পাল্টা হুমকি দিলো যুক্তরাষ্ট্র।
হরমুজ প্রণালী বিশ্বের প্রধান তেলবাহী নৌপথ। এই পথ দিয়েই ইউরোপের দেশগুলোতে তেল আমদানি রপ্তানি হয়।
ইরানের অ্যাডমিরাল হাবিবুল্লাহ সায়ারি এক সাক্ষাতকারে বলেন, ‘ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর কাছে হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়া আসলেই সহজ। অনেকটা একগ্লাস পানি খাওয়ার মতোই সহজ এ বিষয়টি। কিন্তু এখনই আমাদের এটা বন্ধ করে দেওয়ার প্রয়োজন পরছে না। কারণ ওমানের সাগরও আমাদের নিয়ন্ত্রণেই। আমরাই এই ট্রানজিট নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। ’
তিনি আরও বলেন, ‘হরমুজ প্রণালী সম্পূর্ণভাবেই ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ’
এদিকে পেন্টাগন প্রেস সচিব জর্জ লিটল বৃহস্পতিবার বলেন, ‘হরমুজ প্রণালী বন্ধ বা এখানে কোনো জাহাজ চলাচলে বাধা দেওয়া হলে তা মেনে নেওয়া হবে না। কোনো ধরনের বাধাই সহ্য করা হবে না। ’
এছাড়াও মার্কিন কোনো জাহাজ বা পারস্য উপসাগরে চলাচলকারী কোনো জাহাজে কোনো প্রকার হামলা হলে তা সহজ ভাবে নেওয়া হবে না বলেও তিনি জানান।
এই প্রণালীতে অবরোধ জারি করা হলে তা শুধুমাত্র মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকেই ক্ষতিগ্রস্ত করবে না। সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোকেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে যা পরবর্তী সময়ে তেল সঙ্কটের সৃষ্টি করতে পারে।
উপসাগরীয় অঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকাই নিয়ন্ত্রণ করে মার্কিন নৌবাহিনী। তেল আমদানি নিশ্চিত করতেই তারা সরব উপস্থিতি বজায় রেখেছে উপসাগরীয় সমুদ্রসীমায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধুমাত্র হরমুজ প্রণালী নিয়েই যুক্তরাষ্ট্র-ইরান মুখোমুখি অবস্থানে চলে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে উপসাগরের অনেকটা অঞ্চল থাকলেও হরমুজ প্রণালীর মূল অংশই ইরানের নিয়ন্ত্রণে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১১