তেহরান: হরমুজ প্রণালীতে সামরিক মহড়া চালানোর সময় দূলপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর ঘোষণা দিয়েছে তেহরান। এর আগে হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয় দেশটির।
শনিবার ইরানের নৌবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা মাহমুদ মুসাভি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, চলমান মহড়ার ভেতরেই ইরান তাদের অস্ত্রভাণ্ডারে থাকা সব ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাবে। ভূমি থেকে ভূমি, ভূমি থেকে আকাশ এবং আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো হবে বলে জানান তিনি।
তবে ইরান ইতিমধ্যেই দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রসহ অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে বলে শনিবার দেশটির সংবাদমাধ্যম জানায়।
গত সপ্তাহের শুরুতে হরমুজ প্রণালী সংলগ্ন পারস্য এবং এডেন উপসাগরের বিস্তৃত এলাকায় ইরান ১০ দিনব্যাপী নৌ-মহড়া শুরু করেছে।
এই নৌ-মহড়া চলার সময়েই ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলোর জোট ইইউ ইরানের তেল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করছে।
তাদের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই ইরান থেকে তেল আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
ইরানের প্রতিপক্ষ দেশ বিশেষ করে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য আক্রমণের পাল্টা জবাব দেওয়ার সক্ষমতা প্রদর্শনই ইরানের নৌ-মহড়ার উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছে তেহরান।
যদি ইরানের পরমাণু সঙ্কটের সমাধান কূটনৈতিকভাবে সমাধান না হয় তবে সামরিক উপায়ে হলেও ইরান তার পারমাণু উচ্চাকাঙ্ক্ষা থেকে বিরত রাখবে বলে ইতিমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল।
এই হুমকির পরিপ্রেক্ষিতেই ইরান গত মঙ্গলবার ঘোষণা করে, হামলা হলে তারা হরমুজ প্রনালী বন্ধ করে দেবে।
ইরানের তেল রপ্তানির ওপর অবরোধ আরোপ করা হলে বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ২০০ ডলারের ওপরে বেড়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন দেশটির তেলমন্ত্রী রোস্তাম কাসেমি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১১