ঢাকা: নতুন বছর বরণে বিশ্বজুড়ে চলছে উৎসব। আতশবাজি আর চোখ ধাঁধানো নানা প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে বিশ্ববাসী বরণ করে নিচ্ছে নতুন বছর ২০১২ সাল।
জাঁকজমকের সঙ্গে নববর্ষ বরণ করেছে বিশ্বে প্রথম অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম শহর সিডনির অধিবাসীরা। মধ্যরাতে লাখ লাখ ডলার ব্যয়ে ১৫ মিনিটব্যাপী আতশবাজি করে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে তারা।
তবে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা লাফিয়ে অতিক্রম করার পর নতুন বছর প্রথম উদযাপিত হয়েছে সামোয়া এবং তকেলাউতে।
২৯ ডিসেম্বর শেষে যখন ঘড়ির কাঁটা ঠিক ঠিক মধ্যরাত নির্দেশ করছিল তখন এই দক্ষিণ প্রশান্তমহাসাগরীয় দুই দ্বীপবাসীরা লাফিয়ে ৩১ ডিসম্বরে চলে গেছেন। তারা ৩০ ডিসেম্বর পাননি।
সামোয়ার স্থানীয়রা এবং সেখানে পর্যটকরা গত শনিবারই এবারের মতো সর্ব প্রথম নতুন বছর উদযাপন করলেন। যদিও তাদের নতুন বছর আসতে পারত সবার শেষে।
এদিকে, ব্রিটেনের রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ নেমে এসেছিল নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে।
বিগ বেনের ঘণ্টা ধ্বনির মাধ্যমে লন্ডন আইয়ে শুরু হওয়া ১১ মিনিটব্যাপী আতশবাজি দেখতে লন্ডনে জড়ো হয়েছিল লাখ খানেক মানুষ।
কার্ডিফের সিভিক সেন্টারে গানের আয়োজন করা হয়েছিল, আর প্রবেশ ছিল সবার জন্য উন্মুক্ত। তবে বেলফাস্টে এবার কোনও আউটডোর কনসার্ট হয়নি।
স্কটল্যান্ডেও ছিল হুলুস্থুল আয়োজন। এডিনবার্গে হগমানাই স্ট্রিট পার্টির জন্য প্রায় ৮০ হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিল।
নিরাপত্তার জন্য লন্ডনে ছিল ৩ হাজার পুলিশ।
ঠিক মাঝরাতে ১২টা ১ মিনিটে লন্ডন আইয়ে ১২ হাজার আতশবাজি ফুটানো হয়। এর মধ্যে ছিল ৫০ হাজার আলোর গোলা।
এছাড়া ছিল ২০১২ অলিম্পিক গেম থিম। বিভিন্ন আকৃতির এবং অলিম্পিকের সাতটি রিংয়ের আদলে আলোর খেলার চোখ ধাঁধানো প্রদর্শনী হয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়েও ছিল নববর্ষ উদযাপনের ব্যাপক আয়োজন। বিশ্বের সবচে উঁচু ভবন বুর্জ খলিফার শীর্ষ থেকে আতশবাজি করা হয়।
ইউরোপের অনেক দেশে এখনও নববর্ষ উদযাপন চলছে। অনেক শহরে লোকজনের উপচে পড়া ভিড়।
ঝমকালো আতশবাজির সাক্ষী হয়ে থাকতে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর রেড স্কয়ারে মধ্যরাতে ছিল হাজার হাজার মানুষের সমাগম। তবে উৎসবের সময় অ্যালকোহল ছিল নিষিদ্ধ যাতে পুরো মজাটাই মাটি হয়ে না যায়।
তবে তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে হঠাৎ বৃষ্টি পুরো উৎসবটাই মাটি করে দিয়েছে।
কিন্তু ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের মূল চত্বর ছিল আলো ঝলমলে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১১