কলকাতা: বাবরি মসজিদ ধ্বংস পূর্ব পরিকল্পিত ছিল না, আচমকা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন লখ্নৌয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত। তাই বিজেপি নেতা এলকে আদভানি. মুরলিমনোহর যোশী, উমা ভারতীসহ ৩২ আসামিকেই বেকসুর খালা দেওয়া হয়েছে।
প্রায় তিনদশক বাদে বুধবার (৩০ সেপ্টম্বর) আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা হলো।
সকাল থেকে এই রায়ের দিকে তাকিয়ে ছিল গোটা ভারত। সকালে মামলায় অভিযুক্ত মোট ৩২ জনের মধ্যে ২৬ এসছিলেন আদালতে। আসেননি সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদভানি, উত্তরপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিং, বিজেপি নেত্রী উমা ভারতী, সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুরলিমনোহর যোশী, বিনয় কাটিহারসহ দু’জন। তাদেরকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে রাখা হয়েছিল রায় দেওয়ার সময়।
রায়ে জানানো হয়, বাবরি মসজিদ ধ্বংস কোনো পূর্ব পরিকল্পিত ছিল না। আচমকা ঘটেছে এ ঘটনা।
পরে আইনজীবীরা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, রায়ে বলা হয়েছে ওখানে যে হাজার হাজার করসেবক ছিল তাদের মধ্যেই কেউ উসকেছে। এর সঙ্গে উচ্চস্থানীয় নেতাদের দোষ ছিল না। বরং নেতারা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু এতটাই আচমকা হয়েছিল যে কোনোভাবে আটকানো যায়নি।
‘১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বরে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর নানান নথি, লখ্নৌতে আড়াইশো জন ও রায়বেলিতে ৫০ জন, সব মিলিয়ে ৩শ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়। তাতে কেউ বলেনি এই মসজিদ ভাঙার কারণে কোনো নেতার হাত ছিল। ’
পাশাপাশি সেই সময় লালকৃষ্ণ আদভানির মতো প্রথম সারির নেতা বলেছিলেন, তারা বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত নন। মসজিদের অনেক দূরে মঞ্চ বানিয় শুধু দলীয় কার্যক্রম চলছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২০
ভিএস/এএ