নয়াদিল্লি: অবশেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংও যোগ দিলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে। জনগণকে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে সম্পন্ন প্রাত্যহিক কাজের তথ্য জানানোর জন্যই এই টুইটার অভিযাত্রা বলে জানিয়েছে তার সহযোগীরা।
‘@পিএমওইনডিয়া’ এই নতুন টুইটার ঠিকানাতেই আপনি পেতে পারেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। বস্তুত প্রাইম মিনিস্টার অফিসেরই সংক্ষিপ্ত রুপই হলো প্রধানমন্ত্রীর টুইটার একাউন্টের এই ঠিকানা।
তবে প্রাথমিকভাবে তার এই টুইটারটি সামলানোর দায়িত্ব থাকবে প্রধানমন্ত্রীর গণমাধ্যমের দায়িত্বে থাকা দলের ওপর।
সোমবার দিনের শেষভাগে চালুর পর একদিনেই ছ’হাজার ছাড়িয়েছে প্রধানমন্ত্রীর অনুসারী সংখ্যা।
তবে তার সহযোগীরা আশাবাদী টুইটারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী খুব সহজেই দেশের জনগণ বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে পৌঁছুতে পারবেন।
টুইটারে এখন পর্যন্ত তিনটি টুইট করেছেন মনমোহন। তার প্রথম বার্তাটি ছিল সোমবার দিল্লিতে অনুষ্ঠিত তরুণদের জন্য একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সংক্রান্ত।
তরুণ পুরস্কার প্রাপ্তদের উদ্দেশ্যে তিনি লেখেন ‘তোমরা আমাদের সবাইকে গর্বিত করেছো। ’
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নবনিযুক্ত যোগাযোগ উপদেষ্টা পংকজ পাচাউরি প্রধানমন্ত্রীর টুইটারে যোগ দেওয়ার খবর জানিয়ে টুইটারে মন্তব্য করেন ‘এখন থেকে প্রধানমন্ত্রীর অফিস টুইটারে......ধন্যবাদ। ’
এরই মধ্যে জনগণ টুইটারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে বিভিন্ন প্রশ্ন করতে শুরু করেছেন। একজন প্রশ্ন করেন- তার সরকার কবে নাগাদ নির্বাচনী সংস্কার কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছেন।
তবে প্রধানমন্ত্রীর এই নতুন উদ্যোগে একটু আশ্চর্যই হয়েছে দেশটির সাংবাদ কর্মীরা। অনেকেই একে নব নিযুক্ত মিডিয়া অ্যাডভাইজরের নতুন পরামর্শ বলে অভিহিত করেছেন।
মনমোহন সিং ভারতীয় সাংবাদিকদের খুব কমই সাক্ষাৎকার দেন। এজন্য প্রধানমন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমকে এড়িয়ে চলেন বলে নিন্দুকেরা প্রায়ই তার সমালোচনা করেন।
‘প্রধানমন্ত্রী মিডিয়া ফোবিয়ায় আক্রান্ত’ নিন্দুকদের এই গুঞ্জনে পানি ঢেলে দেওয়ার জন্যেই তিনি টুইটারে নাম লেখালেন বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১২