ঢাকা: ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে যাওয়া পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমি মনে করি না, পাকিস্তানে কখনো সেনা অভ্যুত্থান হবে। গণতন্ত্রের জন্য এখানে কোনো হুমকি নেই।
রোববার পাকিস্তান ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এসংক্রান্ত খবর বেরোয়।
গিলানি বলেন, রাষ্ট্রের কোনো প্রতিষ্ঠান, সামরিক বাহিনী বা সাধারণ মানুষ কেউই সেনা অভ্যুত্থান চায় না এবং সবাই গণতন্ত্রের পক্ষে।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের আজ কার্যকর গণতন্ত্র রয়েছে। এখানে পার্লামেন্টের পূর্ণ ক্ষমতা রয়েছে। আমাদের শক্তিশালী সুশীল সমাজ, স্বাধীন গণমাধ্যম ও স্বতন্ত্র বিচার ব্যবস্থাও রয়েছে। ’
ইউসুফ রাজা গিলানি বলেন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ওয়াশিংটনের সঙ্গে ইসলামাবাদের সম্পর্কের পরিবর্তনের প্রতি মনোযোগ দিচ্ছে, বিশেষ করে গত বছর ২৬ নভেম্বর ন্যাটো হামলায় ২৪ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হওয়ার পর। এই ঘটনাটি টার্নিং পয়েন্ট এবং এতে দুই দেশের সরকারের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রিসভার প্রতিরক্ষা বিষয়ক কমিটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন সংজ্ঞায়ন করেছে। এর প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে পাকিস্তানের ভূখ- ব্যবহার করে আফগানিস্তানে ন্যাটোর সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে, শামসি বিমানঘাঁটি থেকে মার্কিন সেনাদের সরিয়ে দিয়েছে এবং আফগানিস্তান প্রসঙ্গে বন সম্মেলন বয়কট করেছে।
‘সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর প্রেক্ষিতে আমাদের মধ্যকার সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়িত করছি; পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, আস্থা ও আগ্রহের ভিত্তিতে দীর্ঘ মেয়াদি সম্পর্কের গড়ার লক্ষ্যে। ’
গিলানি বলেন, বিশ্বশান্তি, প্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য পাকিস্তানকে অনেক মূল্য দিতে হচ্ছে।
পাকিস্তানে আলকায়েদা নেতা ওসামা নেতা ওসামা বিন লাদেনের উপস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা বিশ্বের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ব্যর্থতা।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১২