আম্মান: হামাসের কূটনৈতিক প্রধান খালেদ মেশাল ঐতিহাসিক রাষ্ট্রীয় সফরে এখন জর্দানের রাজধানী আম্মানে অবস্থান করছেন। ১৯৯৯ সালে জর্দানের তৎকালীন সরকার খালেদ মেশালকে বহিষ্কারের পর দেশটিতে রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণে কোনো হামাস নেতার প্রথম সফর এটি।
গত রোববার কাতারের যুবরাজ শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে একত্রে জর্দান পৌঁছান মেশাল। এ সময় জর্দানের বাদশাহ আবদুল্লাহ হামাস নেতাদের সাদর অভ্যর্থনা জানান।
৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মেশাল। প্রতিনিধি দলে আরো আছেন হামাসের ডেপুটি চেয়ারম্যান মুসা আবু মারজুক। যুবরাজ শেখ তামিম জর্দান-মেশালের আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে থাকছেন।
জর্দানের রাজতান্ত্রিক শাসকের সঙ্গে ফিলিস্তিনের সবচেয়ে প্রভাবশালী ইসলামপন্থী এই গ্রুপটির অতীতের শীতল সম্পর্কের বিবেচনায় রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণে হামাস নেতাদের এই সফর বিশেষ তাৎপর্যপূণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
জর্দানের নাগরিকত্বধারী খালেদ মেশাল ১৯৫৬ সালে বর্তমান ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে জম্ম নেন। তখন পশ্চিম তীর জর্দানের অংশ ছিল। ইসরায়েল ১৯৬৭ সালে পশ্চিমতীর জবরদখল করলে সপরিবারে পশ্চিমতীর ত্যাগ করতে বাধ্য হন মেশাল।
১৯৯৯ সালে জর্দানের তৎকালীন কর্তৃপক্ষ হামাসের তিন শীর্ষ নেতাসহ খালেদ মেশালকে বহিষ্কার করে এবং জর্দানে অবস্থান করা হামাস নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দমনাভিযান শুরু করে।
তবে শাসক গোষ্ঠীর এই পদক্ষেপ ফিলিস্তিনী বংশোদ্ভুত অনেক জর্দানি নাগরিককে ক্ষুব্ধ করে তোলে। জর্দানের জনসংখ্যার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ফিলিস্তিনী বংশোদ্ভুত।
জর্দানের সবচেয়ে প্রভাবশালী মুসলিম সংগঠন জর্দানিয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড এই সফরকে ঐতিহাসিক বলে অভিহিত করেছে। দলটির সঙ্গে হামাসের আদর্শিক ঘনিষ্ঠতা রয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশের জনগণের মধ্যে ইসলামপন্থীদের প্রভাব বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে জর্দানের বাদশাহ আবদুল্লাহ হামাস নেতাদের আমন্ত্রণ জানালেন।
অন্য আরব দেশের মত জর্দানের রাজতন্ত্রকেও সম্প্রতি বিক্ষোভের মূখে পড়তে হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১২