করোনা ভাইরাসজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতির ক্ষতি পোষাতে এবার ৫শ হাতি মারার অনুমতি দিয়েছে জিম্বাবুয়ে। চলতি বছরের মধ্যে এসব হাতি মারা হবে বলে এই সপ্তাহে জানিয়েছে দেশটির সরকার।
শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) এ খবর জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সিএনএন।
জিম্বাবুয়ের পার্কস অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ ম্যানেজমেন্ট অথরিটিরি মুখপাত্র তিনাশে ফারাও জানান, করোনাকালীন ট্যুরিজম থেকে আয়ের ক্ষতি পোষাতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বন্যপ্রাণী রক্ষণাবেক্ষণে দেশটির আড়াই কোটি ডলারের বাজেট দরকার হয় বলে জানান ফারাও। তবে এই বাজেট আরো বাড়ছে বলেও জানান।
আইইউসিএন আফ্রিকান বন্যহাতিকে ‘অতি বিপন্ন’ ও সাভানা হাতিকে ‘বিপন্ন’ ঘোষণার সপ্তাহ না যেতেই জিম্বাবুয়ে এ ঘোষণা দিলো।
প্রতিটি হাতি আকৃতি ভেদে বিক্রি হবে বা শিকারের জন্য শিকারিকে দিতে হবে ১০ থেকে ৭০ হাজার ডলার (১ ডলার=৮৫ টাকা) করে। অর্জিত অর্থ ন্যাশনাল পার্কের উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্যই ব্যয় হবে।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি হাতিবহুল দেশ বতসোয়ানা। এর পরেই আছে জিম্বাবুয়ে। হাতি শিকার থেকে আয়ের জন্য পরিবেশবাদীদের কাছে বিশ্বব্যাপী সমালোচিত দেশ দুটি।
আফ্রিকান এই দেশটিতে এখনো লাখের কাছাকাছি হাতি আছে। এসব হাতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করে বলে অভিযোগ রয়েছে। মানুষ আক্রমণ থেকে বাঁচতেও এদের মেরে ফেলে।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত এক হাজার অভিযোগ এসেছে পার্ক কর্তৃপক্ষের কাছে।
ফারাও বলেন, চলতি বছর এখন পর্যন্ত হাতির আক্রমণে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বছর মারা যায় ৬০ জন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২১
এএ