নিউইয়র্ক: জনসংখ্যার বাড়তি চাপের কারণে বিশ্বে খাদ্য এবং জ্বালানির সংকট শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
বিশ্বের মোট ৩০০ কোটি মানুষ দারিদ্র ঝুঁকিতে রয়েছে বলেও সোমবার জাতিসংঘের প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়।
জতিসংঘের মতে, বিশ্বের জনসংখ্যা বর্তমানে ৭০০ কোটি। কিন্তু আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে এই জনসংখ্যা বেড়ে দাড়াতে পারে ৯০০ কোটিতে। আগামী ২০ বছরের মধ্যে মধ্যবিত্ত শ্রেনীর সংখ্যাই বাড়বে ৩০০ কোটি। জনসংখ্যার এই বাড়তি চাপের কারণে প্রাকৃতিক সম্পদের চাহিদা বাড়ছে।
জাতিসংঘের হিসেব মতে, এমনকি ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বে খাদ্যের চাহিদা বাড়বে ৫০ শাতংশ। এছাড়াও জ্বালানি চাহিদা বাড়বে ৪৫ শতাংশ ও সুপেয় পানির চাহিদা বাড়বে ৩০ শতাংশ।
রিপোর্টে আরও বলা হয়, বিশ্ব যদি এই বিশাল চাহিদার যোগান দিতে না পারে তাহলে ৩০০ কোটি মানুষ দারিদ্র ঝুঁকির মধ্যে পরবে। এই উপযোগিতা পূরণে বিশ্বের বর্তমান অবস্থা অনেক বেশি অস্থিতিশীল। বর্তমান অর্থনৈতিক অস্থিতিশীল অবস্থার কারণে উল্লেখযোগ্য পুনর্গঠনের সুযোগ রয়েছে।
১৯৯০ সালের তুলনায় দারিদ্রসীমার হার কমেছে ৪৬ শতাংশ থেকে ২৭ শতাংশে। তবে ১৯৯২ সালের পর বিশ্ব অর্থনীতির চাঙ্গাভাব বেড়েছে ৭৫ শতাংশ। উন্নত জীবন যাপন প্রক্রিয়া, ভোক্তা অভ্যাস পরিবর্তনের কারণে প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর চাপ বেড়েছে। কিন্তু চাহিদা অনুয়ায়ী প্রাকৃতিক সম্পদ যথেস্ট নেই।
২০০০ সালের পর থেকে প্রতিবছর ৫২ লাখ হেক্টর পরিমান বণভূমি নষ্ট হচ্ছে। এক বছরের ধ্বংস হওয়া বণভূমির পরিমান সমগ্র কোস্টারিকার সমান। ১৯৯০ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে বিষাক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়েছে ৩৮ শতাংশ বেশি। যার কারণে সমুদ্রের জলসীমা বেড়েছে অগের তুলনায় অনেক। আর এর ফলাফল হিসেবে বিগত বছরগুলোতে ৮৫ শতাংশ মাছের মজুদের ওপর চাপ পড়েছে। কারণ সমুদ্রের মাছের ক্ষেত্র পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে এবং মৎস সম্পদ আগের তুলনায় কমে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়; ১৮৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১২