যুক্তরাষ্ট্রের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজার করোনা প্রতিরোধে টিকা আনার পর এবার কাজ করছে এই রোগের চিকিৎসায় ‘অ্যান্টি-ভাইরাল’ ওষুধ নিয়ে। মুখে গ্রহণ করার এ ওষুধটি করোনা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিএনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফাইজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আলবার্ট বোরলা এসব কথা বলেছেন।
ওষুধটির বিষয়ে আলবার্ট বোরলা বলেন, যদি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ঠিকমতো হয় এবং ফুড এবং ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) অনুমোদন দেয় তবে বছরের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ওষুধটি পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।
ওষুধটি করোনার নানা ধরন প্রতিরোধে আরও কার্যকর হবে বলে আশাবাদী ফাইজারের সিইও।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওষুধটি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গেম চেঞ্জার হতে পারে। আক্রান্ত হওয়ার পর প্রাথমিক পর্যায়ের রোগীদের এ ওষুধ হাসপাতালে যাওয়া থেকে বিরত রাখবে।
গবেষকরা আশা করছেন, এ ওষুধ করোনাকে বিস্তৃত হতে দেবে না। পাশাপাশি এটা রোগীকে আক্রান্ত হওয়ার পরপরই হাসপাতালমুখী হওয়া থেকেও বিরত রাখবে।
খবরে বলা হয়, ফাইজার ৬ মাস থেকে ১১ বছর বয়সীদের জন্য একটি ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা চলাচ্ছে। অপরদিকে ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের জন্য তৈরি তাদের ভ্যাকসিন শতভাগ কার্যকর বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এটি অনুমোদন পাওয়ার বিষয়ে ফাইজার আশাবাদী।
মার্কিন কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেক যৌথভাবে করোনাভাইরাসের টিকা তৈরি করেছে। এর প্রয়োগ চলছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ফাইজারের দাবি, তাদের উদ্ভাবিত করোনার টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকর।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২১
এইচএডি/