লন্ডন: পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা গোপনে আফগানিস্তানের তালেবান যোদ্ধাদের সাহায্য করছে। বুধবার ফাঁস হওয়া ন্যাটোর এক গোপন দলিল থেকে এতথ্য প্রকাশ করে বিবিসি এবং দ্য টাইমস নামের দুইটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
‘স্টেট অব দ্য তালেবান’ বা ‘তালেবানের রাষ্ট্র’ নামের ওই দলিলের বিভিন্ন দিক নিয়ে রিপোর্ট এবং সম্পাদকীয় লেখে ওই দুই গণমাধ্যম।
গণমাধ্যম দুটিতে ন্যাটোর ওই গোপণ দলিলের বরাত দিয়ে বলা হয়, ‘পাকিস্তান এবং আইএসআই গোয়েন্দা সংস্থা শীর্ষ তালেবান নেতাদের অবস্থান সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। ’
বিবিসি জানায়, ‘মোট ২৭ হাজার বন্দীর জবানবন্দীর ওপর নির্ভর করে ওই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। বন্দীদের মধ্যে চার হাজার সদস্যই ছিল তালেবান। এছাড়াও অন্যান্য বিদেশি যোদ্ধা এবং বেসামরিকও আছে তালিকায়। ’
রিপোর্টে আরও বলা হয়, ‘তালেবান শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই চলছে। কিভাবে জিহাদ করতে হবে এবং আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনাদের কিভাবে বিতারণ করা যায় সেবিষয়ে তালেবান যোদ্ধাদের উপদেশ দিয়ে যাচ্ছে আইএসআই। ’
‘অনেক আফগানই নাটকীয়ভাবে তালেবান শাসনে ফিরে যেতে হবে বলে মনে করেন। এছাড়াও ন্যাটো বাহিনী তালেবান যোদ্ধাদের জন্য ততটা হুমকির নয় বলেও ওই রিপোর্টে বলা হয়। ’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অবশ্য এই গোপন রিপোর্টের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে আফগানিস্তানে পাকিস্তানের প্রভাবের বিষয়ে ভীতি প্রকাশ করে।
পেন্টাগন মুখপাত্র জর্জ লিটল একটি আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থাকে জানান, ‘আমরা ওই রিপোর্টটি দেখিনি। যার কারণে এ বিষয়ে বিশেষত কোনো মন্তব্য করা যাচ্ছে না। তবে আইএসআই’এর সঙ্গে কিছু চরমপন্থী নেটওয়ার্কের যোগাযোগ আছে সেব্যাপারে আমরা উদ্বিগ্ন। ’
তবে টাইমস তার সম্পাদকীয়তে জানায়, ‘পাকিস্তান সক্রিয়ভাবেই তালেবান এবং কাবুলের মধ্যে পুনর্গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে। ইসলামাবাদ পর্যায়ক্রমে আফগানিস্তানের কারজাই সরকারকে নিস্ক্রিয় করতে চাইছে। যাতে আফগানিস্তান থেকে পশ্চিমা বাহিনী বের করে দেওয়া যায়। আফগানিস্তানে পশ্চিমা বাহিনীর যেসকল সদস্য হামলায় নিহত হয়েছে এর পেছনে তারাই রয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১২