সামুদ্রিক নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা জোরদার করার জন্য আইন পাস করেছে চীন। আর সে কারণে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
বেইজিং দাবি করে, পূর্ব চীন সাগরে টোকিওর অধীনে থাকা সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জ তার ভূখণ্ডের অংশ। তাই সেখানে চলাচলকারী জাপানি জাহাজগুলো চীনের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতে পারে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে চীন তার উপকূলরক্ষী বাহিনীকে অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে একটি বিতর্কিত আইন চালু করে। ওই আইন অনুযায়ী বিতর্কিত জলসীমায় যে কোনো জাহাজকে গুলি করতে পারবে উপকূলরক্ষী বাহিনী।
সর্বশেষ সংশোধনটি চীনের শীর্ষ আইনসভা ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটিতে পাস করা হয়েছিল। সরকারি শিনহুয়া সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ১ সেপ্টেম্বর এটি কার্যকর করার কথা রয়েছে।
এই আইন চীনের সামুদ্রিক নিরাপত্তা সংস্থা বিদেশি জাহাজগুলিকে আদেশ দিতে পারবে। চীনের দাবি করা জলসীমায় যদি কোনো জাহাজ প্রবেশ করে এবং নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে হয়, তবে তারা অস্ত্রও ব্যবহার করতে পারবে।
রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বে সমুদ্রে শক্তি বাড়াতে দক্ষিণ ও পূর্ব চীন সাগরে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে চীন।
চীন প্রায়শই সেনকাকার চারপাশে জাহাজ পাঠিয়ে নিজেদের দাবি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালায়। অন্যদিকে ওয়াশিংটন এবং টোকিও একমত হয়েছে যে আইলেটগুলি জাপান-মার্কিন নিরাপত্তা চুক্তির পরিধির মধ্যে পড়ে।
বেইজিং যুক্তি দেখায়, দিয়াওয়ু দ্বীপপুঞ্জ এবং এর অনুমোদিত আইলেটগুলি এর "অন্তর্নিহিত অঞ্চল"।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০২১
নিউজ ডেস্ক