নিউইয়র্ক : টুইটারের পর এবার নিজেদের সাইটে সেন্সরশিপ আরোপ করছে বিশ্ববিখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন প্রতিষ্ঠান গুগল। রাষ্ট্রবিরোধী কোনো ব্লগ পোস্ট হলেই তা এখন ব্লক করে দেবে গুগল।
গুগলের অলিখিত নীতি অবশ্য ‘শয়তান হইও না’। কিন্তু সার্চ ইঞ্জিনে রাষ্ট্রবিরোধী এবং সরকারবিরোধী ব্লগ পোস্টের কারণে গুগল নিজেই এখন তার এই নীতি পরিবর্তন করছে। আর তাই এখন থেকে ওই সব পোস্ট গুগল কর্তৃপক্ষই ব্লক করবে।
গুগল অবশ্য এই পোস্ট ব্লক করবে দেশভিত্তিক আইন এবং সংবিধান কাঠামোর ওপর ভিত্তি করে। টুইটারও সম্প্রতি একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিজেদের সাইটের জন্য। কোনো নির্দিষ্ট দেশের আইনের বিরোধী কোনো টুইট হলে তা ব্লক করবে টুইটার।
ইন্টারনেট ফ্রিডম গ্রুপ ওপেন নেট ইনিশিয়েটিভ জানায়, টুইটারের এই নতুন পলিসি প্রকারান্তরে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীনদের দাবিগুলোই পূরণ করবে।
এদিকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, ‘অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও মানবাধিকার সুরক্ষার বিষয়টির প্রয়োগের সুযোগ রয়েছে। হিউম্যান রাইটস মনিটরস এবং আইনজীবীদের এই ডিজিটাল বিপ্লব নিয়ে অনেক কিছু করার আছে। ’
থাইল্যান্ড সরকার টুইটারের নেওয়া এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে গুগল বলছে, নতুন এই নীতির ফলে মুক্তচিন্তা এবং মুক্তবুদ্ধির চর্চার দ্বার আরো প্রশস্ত হবে। কারণ ওই ব্লগগুলো শুধু যে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লেখা ওই রাষ্ট্রগুলোতেই প্রদর্শিত হবে না, কিন্তু সারাবিশ্ব থেকে তা পড়া যাবে।
টেকনোলজি বিষয়ক ব্লগ টেকডার্ট জানায়, ‘যদি গুগল এবং টুইটারের মতো অন্যান্য সাইটগুলোও এই ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাহলে বুঝতে হবে বিশ্ব ইন্টারনেটের শেষ সময় এসে পড়েছে। আর এটা খুবই খারাপ হবে, কারণ শুরু হওয়ার আগেই শেষ হয়ে যাওয়া মেনে নেওয়া যায় না। ’
গুগল মুখপাত্র জানায়, আমরা অবাধ তথ্য স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। যেখানে আমাদের উপাত্ত অবৈধ ঘোষণা হবে সেখানে আমরা সেবা দেবো না।
বাংলাদেশ সময় : ১৫০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১২