মস্কো: রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে শনিবার প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুতিনের পক্ষে বিপক্ষে সমাবেশ ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। -১৯ ডিগ্রী সেলসিয়াসেরও কম তাপমাত্রা উপেক্ষা করে মানুষ উভয় সমাবেশ ও র্যালিতে অংশ নেয়।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী ভ্লাদিমির পুতিনকে ক্ষমতা থেকে সড়ে দাঁড়ানোর দাবিতে বিপুল সংখ্যক জনগণ অংশ নেয় বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
গত ডিসেম্বরে রাশিয়ার পার্লামেন্ট দুমার নিম্নকক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর এটি হলো পুতিন বিরোধী তৃতীয় বিক্ষোভ সমাবেশ।
সমাবেশে অংশ নেওয়া বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, পার্লামেন্ট নির্বাচনে পুতিনের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন দল ব্যাপক কারচুপি করে নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে।
এদিকে পুতিন বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশের পাশাপাশি মস্কোতে পুতিনের সমর্থনেও বিশাল সমাবেশ ও র্যালি হয়েছে। পুতিনের পক্ষে সমর্থন অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেছে সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা।
মস্কোর পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পুতিনের সমর্থনে অনুষ্ঠিত র্যালিতে প্রায় ৯০ হাজার লোক যোগ দেয়। নগরীর পশ্চিমাংশ পোকলোনায়া গোরা এলাকা থেকে পুতিনের সমর্থকদের র্যালিটি শুরু হয় বলে জানায় তারা।
অন্যদিকে পুতিন বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়া লোকের সংখ্যা প্রায় ২৩ হাজার বলে জানিয়েছে পুলিশ।
র্যালিতে অংশ নেওয়া জনগণ সরকার বিরোধী আন্দোলনের প্রতীক সাদা বেলুন বহন করে। র্যালিটি মস্কোর কালুজকায়া স্কয়ার থেকে শুরু হয়ে বোলোনায়া স্কয়ারে গিয়ে শেষ হয়।
রাশিয়ার পার্লামেন্ট নির্বাচনের পর প্রথম পুতিন বিরোধী র্যালিতে অংশ নেয় প্রায় ৫০ হাজার লোক। বিক্ষোভকারীরা কারচুপির অভিযোগে পার্লামেন্ট নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের দাবি জানায়।
গত ৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ নির্বাচনে পুতিনের দল ইউনাইটেড রাশিয়া জয়লাভ করে।
শনিবারের পুতিন বিরোধী সমাবেশের আয়োজকরা পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। সেই সঙ্গে আগামী মার্চে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুতিনের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার জন্য জনগণকে আহ্বান জানিয়েছে তারা।
তবে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের একজন প্রতিনিধি জানান, আগামী নির্বাচনে পুতিনের প্রেসিডেন্ট হওয়া ঠেকানোর ব্যাপারে পুতিন বিরোধীরা ততোটা আশাবাদী নয়, তবে তারা আরও বেশি রাজনৈতিক সংস্কারের জন্য পুতিনের ওপর চাপ অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১২