ওয়াশিংটন: যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দ্য আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (এসিএলইউ)। নিজের দেশের নাগরিককে হত্যার জন্য চলতি সপ্তাহেই সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে যুক্তরাষ্ট্রের এই নাগরিক অধিকার সংগঠনটি।
সংগঠনের সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালে ড্রোন (মনুষ্যবিহীন বিমান) হামলায় তিন জন আমেরিকান নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনার বিস্তারিত তথ্য দাবি করে বিচার মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং গোয়েন্দা সংস্থা সিআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা নথিভূক্ত করা হয়েছে।
যাদের হত্যার ব্যাপারে তথ্য চাওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন, সন্দেহভাজন আল কায়েদা নেতা আনোয়ার আল আওলাকি এবং সামির খান। এই দুই মার্কিনী গত বছর ইয়েমেনে ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
অপরজন হচ্ছেন, আওলাকির ১৬ বছর বয়সী ছেলে আবদুল রহমান। আওলাকি ও খান নিহত হওয়ার দুই সপ্তাহ আগে আরেকটি ড্রোন হামলায় নিহত হন তিনি।
সে সময় আওলাকির মৃত্যুকে সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধের মাইল ফলক বলে উল্লেখ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
এ ব্যাপারে এসিএলইউ’র নাথান ফ্রিড ওয়েসলার বলেছেন, ‘আমাদের সরকারের নির্দেশে সন্দেহভাজন আমেরিকান সন্ত্রাসীদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা একটা প্রশ্নকে প্রবলভাবে সামনে আনছে; এটা নিয়ে খোলামেলা বিতর্ক হওয়া উচিত। ’
তিনি বলেন, ‘দূর্ভাগ্যবশত ওবামা প্রশাসন এ ব্যাপারে খুব নগণ্য তথ্য আমাদের দিয়েছে। সরকারের ভাবখানা যেনো এটা রাষ্ট্রের গোপনীয় বিষয়। আর যে তথ্য দেওয়া হয় তার মধ্যে কিছু আবার বিভ্রান্তিকর। ’
হত্যাকাণ্ডগুলো যে বিচারবহির্ভূত তার স্বীকারুক্তিমূলক জবানবন্দি সম্বলিত বিচার মন্ত্রণালয়ের একটি স্মারকলিপি প্রকাশ করার কথা ভাবছে এসিএলইউ।
এছাড়া, আওয়লাকিকে হত্যার আগেই তিনি সিআইয়ের হত্যা তালিকায় ছিলেন। অথচ এ বিষয়টি কখনো জানানো হয়নি। এটা যুক্তরাষ্ট্রের তথ্য অধিকার আইনের পরিপন্থী বলে মনে করছে সংগঠনটি।
ড্রোন হামলার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে পরিষ্কার করে কিছু বলেনি। যদিও সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা পাকিস্তানে ড্রোন হামলার কথা স্বীকার করেছেন। সেই সঙ্গে এই গোপন হামলার সাফাইও গেয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২২০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১২