দামেস্ক: সিরিয়ার হোমস শহরে ব্যাপক গোলাবর্ষণ চলছে। প্রতিবাদকারীদের থেকে পাওয়া শেষ খবরে এ পর্যন্ত সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ৯৫ জন মানুষ মারা গিয়েছে।
একজন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকর্মী জানান, হোসমের স্থানীয় বাসিন্দারা গোলা বর্ষণের ভয়ে আতঙ্কিত। সেনাবাহিনী ঘরে ঘরে অভিযান চালাতে পারে বলে ভয় পাচ্ছে বাসিন্দারা।
স্থানীয় সময় সকাল ছয়টা থেকে সিরিয়ার সেনাবাহিনী ভারি গোলাবর্ষণ শুরু করেছে হোমসে।
সিরিয়ার জাতীয় পরিষদ সদস্য আল তালি একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে জানান, ‘সকাল ছয়টা নাগাদ গোলাবর্ষণ শুরু হয়। প্রতিবাদকারীদের কাছ থেকে পাওয়া সংবাদ অনুযায়ী এ পর্যণÍ ৫০ জন মানুষ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের অধিকাংশই বেসামরিক। ’
তবে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও তিনি জানান।
হোমস আসাদ বিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রস্থলগুলোর একটি। এই হোমস থেকেই মূলত সর্বপ্রথম আসদ বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়।
তবে ঘটনার প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানায়, সকালের হামলায় সেনাবাহিনী প্রথমে ব্যবহার করে রকেট। এরপর থেকেই শুরু হয় মর্টার হামলা। সেনাবাহিনীর হামলার পাল্টা জবাবে ফ্রি সিরিয়ান অর্মিও অস্ত্র ব্যবহার করছে। শহরের কিছু নির্দিষ্ট অংশে এই রকেট হামলা হচ্ছে। ’
তবে বিক্ষোভকারীদের এই দাবি কোনো নিরপেক্ষসূত্রে নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সিরিয়ার বিরুদ্ধে আনা পশ্চিমাদের প্রস্তাবের বিপক্ষে ভেটো প্রদান করে রাশিয়া এবং চীন।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় মুকপাত্র ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড বলেন, ‘আমরা আশা করছি পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাভরভ তার সর্বোচ্চ সুযোগই ব্যবহার করবেন। প্রেসিডেন্ট আসাদকে বোঝাতে সক্ষম হবেন যে তার শাসন কতটা ভয়ংকর হয়ে গেছে। একই সঙ্গে আরব লীগের দেওয়া প্রস্তাবও মেনে নেয় যেন আসাদ। ’
উল্লেখ্য, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাভরভ সিরিয়ার বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ভিন্ন পন্থায় সহিংসতা বন্ধে আসাদ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে সিরিয়া যাচ্ছেন।
বিগত বছর শুরু হওয়া আসাদ বিরোধী আন্দোলন ১১ মাসে পা দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১২