ওয়াশিংটন: সিরিয়ায় চলমান সহিংসতায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ অনেক ধৈর্যচুতি ঘটিয়েছেন বলে যুক্তরাষ্ট্র পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে।
মঙ্গলবার জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সুসান রাইস আসাদকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনার দিন শেষ।
যুক্তরাষ্ট্রে দুই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সিরিয়ার ওপর আরও অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক চাপ বাড়ানো হবে বলে একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে মন্তব্য করার পরই রাইস এই কথা বললেন।
এদিকে পেন্টাগন এবং মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ড তাদের অভ্যন্তরীণ সেনাক্ষমতা যাচাই করছে। যাচাই পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে পূর্ণ রিপোর্ট দেওয়া হবে বলে জানা যায়।
সিরিয়ার শহর হোমস থেকে আসাদ বিরোধী প্রতিবাদকারী ড্যানি জানায়, ‘সরকারি সেনারা ঘরে ঘরে তল্লাসি চালাচ্ছে। ফ্রি আর্মির সদস্যদের খুঁজতে তারা এই কাজ করছে। ফ্রি আর্মির বেশিরভাগ সদস্যই সরকারি সেনাবাহিনী থেকে পালিয়ে আসা। ’
আশ-পাশের অঞ্চলগুলোতে সরকারি সেনারা মর্টার এবং রকেট নিক্ষেপ করছে। মঙ্গলবার তাদের মর্টার হামলায় একটি রেড ক্রসের অ্যাম্বুলেন্স ধ্বংস হয়ে গেছে বলেও ড্যানি জানান।
হোয়াইট হাউস তথ্য সচিব জে কারণে বলেন, ‘সিরিয়ার বিরোধীদের অস্ত্র দেওয়ার ব্যাপারে এখনও আমাদের কোনো পরিকল্পনা নেই। আমরা এখনই এধরনের কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছি না। আমরা সিরিয়ায় মানবিক সহায়তা দেওয়ার সম্ভাব্যতা যাচাই করছি। একই সঙ্গে সিরিয়ার ওপর কিভাবে চাপ বাড়ানো যায় তা আমাদের মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা করে দেখা হচ্ছে। ’
কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড অবশ্য সিরিয়ার বিরোধীদের অস্ত্র দেওয়ার বিষয়টি একেবারে উড়িয়ে দেন নি। আমরা এখনও আলোচনার টেবিল থেকে কোনো সম্ভাবনাই বাতিল করে দেই নি বলেও জানান নুল্যান্ড। ‘যদিও প্রেসিডেন্ট নিজেও বিশ্বাস করেন যে সিরিয়াতে অস্ত্র দিয়ে কোনো সদুত্তর পাওয়া যাবে না। জাতীয় সমন্বিত আলোচনার ভিত্তিতেই সিরিয়ার কিছু হতে পারে। ’
উপসাগরীয় আরব দেশগুলো সিরিয়া থেকে তাদের রাষ্ট্রদূত সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পরই যুক্তরাষ্ট্র এমন মন্তব্য করলো।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১২