ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ ভাদ্র ১৪৩২, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

ব্রিটেনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে যাবে আর্জেন্টিনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:৫০, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১২
ব্রিটেনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে যাবে আর্জেন্টিনা

বয়েন্স আয়ার্স: বিবদমান ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জের জলসীমায় ব্রিটেনের সামরিক উপস্থিতির বিরুদ্ধে জাতিসংঘে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ উত্থাপনের ঘোষণা দিয়েছে আর্জেন্টিনা।

গত মঙ্গলবার আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট ক্রিস্তিনা ফার্নান্দেস দে কির্সনার সংসদ সদস্য, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এবং ১৯৮২ সালে ফকল্যান্ডের মালিকানা নিয়ে ব্রিটেনের সঙ্গে সংগঠিত যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকে এই ঘোষণা দিয়েছেন।



ফকল্যান্ড দ্বীপের মালিকানা নিয়ে আর্জেন্টিনা ও ব্রিটেনের মধ্যে বিরোধ দীর্ঘ দিনের। তবে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এই ইস্যু নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে।

আর্জেন্টিনা এখনো এই দ্বীপপুঞ্জের মালিকানা দাবি করে। তারা একে মালভিনাস নামে ডাকে। ১৮৩৩ সাল থেকে ফকল্যান্ড দখল করে আছে ব্রিটেন।

গত ডিসেম্বরে দক্ষিণ আমেরিকার বাণিজ্য সংগঠন মারকোসার ফকল্যান্ডের পতাকাবাহী কোনো জাহাজ তাদের বন্দরে নোঙ্গর নিষিদ্ধ করেছে। একে তারা ব্রিটেনের উপনিবেশিক প্রতীক বলে মনে করে তারা।

এর পরেই গত মাসেই ব্রিটেন বলেছে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির নতুন যুদ্ধ জাহাজ এইচএমএস ডন্টলেস দক্ষিণ আটলান্টিকে ফকল্যান্ডের কাছাকাছি জলসীমায় পাঠাচ্ছে তারা। তবে একে নিয়মিত টহল বলে উল্লেখ করেছে লন্ডন।

এদিকে ব্রিটেন রাজসিংহাসনের দ্বিতীয় উত্তরাধীকারি প্রিন্স উইলিয়ামকে সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য ফকল্যান্ডে মোতায়েনকে কেন্দ্র করে আর্জেন্টিনার ব্রিটেনবরোধী অবস্থানে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।

মঙ্গলবারের বৈঠকে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট কির্চনার এই বিষয়টি প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ‘ব্রিটেন দক্ষিণ আটলান্টিকে তাদের সামরিক উপস্থিতি আগের চেয়ে বাড়িয়েছে। ‘

তিনি বলেছেন, ‘আমরা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এবং সাধারণ পরিষদে বিষয়টি তুলবো। এই ধরনের সামরিক উপস্থিতি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য ভয়াবহ হুমকি। ’

এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এদিকে ব্রিটেনের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জের মানুষেরা ব্রিটিশ। নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে তাদের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে। দ্বীপবাসী না চাইলে এর সার্বভৌমত্ব নিয়ে আর্জেন্টিনার সঙ্গে কোনো আলোচনা নয়। ’

ফকল্যান্ডের ব্যাপারে আর্জেন্টিনার অবস্থানে সমর্থন দিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার অন্য দেশগুলো। মারকোসার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্রাজিল ও উরুগুয়ে তাদের বন্দরে ফকল্যান্ডের পতাকাবাহী জাহাজ নিষিদ্ধ করেছে।

চিলির পররাষ্ট্র মন্ত্রী সম্প্রতি ফকল্যান্ডের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নে আর্জেন্টিনার অবস্থানকে সমর্থন জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বৈঠক চলাকালীন সরকারি প্রাসাদের বাইরে শত শত মানুষ আর্জেন্টিনার পতাকা নিয়ে ‘মালভিনাস’ বলে স্লোগান দিচ্ছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।