আফগানিস্তানের ক্ষমতা তালেবানদের হাতে যাওয়ার পর থেকেই প্রতিদিনই কাবুল বিমানবন্দরে দেশ ত্যাগে ইচ্ছুক মানুষের ভিড় বাড়ছে।
মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) একই দৃশ্য দেখা গেছে বিমানবন্দর এলাকায়।
এদিন দেশ ছাড়তে বিমানবন্দরে লাখ লাখ আফগান তাদের পরিবার নিয়ে হাজির হয়েছেন বিমানবন্দরে। এতে চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে সেখানে। কাবুল বিমানবন্দর অনেকটা জনারণ্যে পরিণত হয়েছে। আফগানরা যখন দেশত্যাগে কাবুল বিমানবন্দরে জড়ো হয়েছেন, তখন সতর্ক অবস্থায় নির্দিষ্ট দূরত্বে মার্কিন ও তালেবান সেনারা বন্দুক উঁচিয়ে প্রস্তুত রয়েছেন।
গত ১৫ আগস্ট কাবুলের ক্ষমতাগ্রহণ করে তালেবান। পরদিন কয়েকশ পরিবার দেশ ছাড়তে জড়ো হন কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। কারণ বিমানবন্দর থেকে মার্কিন সেনারা তাদের দেশের নাগরিক ও তাদের সমর্থক আফগানদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন। যতই দিন যাচ্ছে ততই বিমানবন্দরে মানুষের ভিড় বাড়ছে। উদ্দেশ্যে একটাই, যেকোনো মূল্যে দেশ ছাড়তে হবে। এ মানুষগুলোর কথা চিন্তা করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, যেহেতু আফগানিস্তান ছাড়তে ইচ্ছুক সব লোককে সরিয়ে নিতে মার্কিন ও তাদের নেতৃত্বাধীন বিদেশি বাহিনী কাজ করছেন। তাই সেনা প্রত্যাহারের চূড়ান্ত তারিখ ৩১ আগস্ট পার হয়ে যেতে পারে।
বাইডেনের এমন কথার পর যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে তালেবান বাহিনী। আগামী ৩১ আগস্টের পর আফগানিস্তানে বিদেশি সেনা থাকলে এর ফল ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন ৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ছিলেন।
বাংলাদেশসময়: ১৩৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২১
এএটি