নয়াদিল্লি: মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট ড. ওয়াহিদকে অভিনন্দন জানিয়েছে ভারত। মালদ্বীপের অভ্যন্তরীন রাজনৈতিক অস্থিরতা নিরসনে শান্তিপূর্ণ উপায়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত।
এদিকে মালদ্বীপের রাজধানী মালে এবং শহর আদ্দুতে নাশিদপন্থী সমর্থক এবং বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। মালদ্বীপের বেশকিছু অংশের দখল নিয়েছে নাশিদপন্থীরা।
বৃহস্পতিবার মালদ্বীপের এক আদালত মুহাম্মদ নাশিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার পরপরই নাশিদের সমর্থকরা তার বাড়ি ঘেরাও করে অবস্থান নেয়।
ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশংকর মেনন মালদ্বীপের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কয়েক দফায় বৈঠক করেছেন। প্রথমত নাশিদের যেনো কোনো প্রকার ক্ষতি না হয় এবং নতুন প্রশাসনের পুনর্গঠন যাতে শান্তিপূর্ণ উপায়েই হয় সেবিষয়ে আলোচনা হয়।
তবে ভারত মালদ্বীপের সর্বোচ্চ খারাপ পরিস্থিতির জন্যও তৈরি হয়ে আছে। নিজেদের সমুদ্রসীমায় ইতোমধ্যেই একটি যুদ্ধজাহাজ এবং নৌ বাহিনীর দুইটি পেট্রোল জাহাজ মোতায়েন করেছে ভারত। এমনকি ভারত মালদ্বীপ থেকে বিদেশিদের সরিয়ে নেওয়ার জন্যও প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান শিবশংকর।
তবে বিভিন্ন সূত্র মতে, মালদ্বীপের অভ্যন্তরীন সমস্যা এত সহজে শেষ হবার নয়। কারণ অভ্যন্তরীন রাজনৈতিক অঙ্গনে অনেক বেশি জট পাকানো অবস্থা বিরাজ করছে। কিন্তু ধারনা করা হচ্ছে, ভারত সরকারের তরিৎ হস্তক্ষেপের ফলে হয়তো পরিস্থিতি স্বাভাবিক আকার নিতে পারে।
নতুন প্রেসিডেন্ট ওয়াহিদের কিছু নিয়োগ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ভারত ইতোমধ্যেই। আর এই অসন্তোষ মূলত নতুন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোহাম্মদ জামিলকে ঘিরে। জামিল বিরোধী দলীয় দিভিই কওমে পার্টির সদস্য।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১২