আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় এলে নারীদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হতে পারে বলে অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন। তবে ক্ষমতা দখলের পর তালেবান জানায়, তারা আফগান নারীদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের অধিকার নিশ্চিত করবে।
ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য সান’র বরাত দিয়ে শনিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পর্নো সাইট ঘেঁটে আফগান যৌনকর্মীদের খুঁজে বের করছে তালেবান। যৌনকর্মীদের খুঁজে বের করে খুন করা হবে।
কিছু পর্নো ভিডিওতে পশ্চিমাদের সঙ্গে আফগান নারীদের দেখে আরও ক্ষেপে গেছে তালেবান। তাই ওই নারীদের নৃশংসভাবে হত্যা করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছে ট্যাবলয়েডটি।
তবে সবসময়ই তালেবান নেতারা বলছেন, ‘ইসলামিক আইন’ মেনে নারীদের অধিকার রক্ষা করা হবে। শিক্ষা বা কর্মক্ষেত্রে কাজ করতে পারলেও ইসলামিক আইন মেনেই নারীদের ছাড় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
তালেবানের মুখপাত্র সুহেল শাহিন এক মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, হিজাব ছাড়া শিক্ষাক্ষেত্রে যাওয়া পশ্চিমা সংস্কৃতি। তা আফগানিস্তানের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের সঙ্গে যায় না। তাই তালেবান এর বিরোধিতা করে। পাশাপাশি অন্য ক্ষেত্রেও ‘সংস্কৃতি’ মেনে বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপের ইঙ্গগিতও দেন সুহেল।
যদিও তালেবানের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানে বিভিন্ন স্থানে নারীদের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কাবুল, হেরাটে তালেবানের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে রাস্তায় নামতেও দেখা গেছে নারীদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২১
জেএইচটি