মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করা সামরিক জান্তার আক্রমণ থেকে দেশটির জনগণকে রক্ষা করতে ‘প্রতিরোধ যুদ্ধ’ ঘোষণা করেছে ছায়া সরকার।
মঙ্গলবার (০৭ সেপ্টেম্বর) দেশটির জান্তাবিরোধী জাতীয় ঐক্য সরকারের (এনইউজি) ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট দুওয়া লাশি লা এক ভিডিও বার্তায় এ ঘোষণা দেন বলে জানিয়েছে কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশিত ওই ভিডিও বার্তায় ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট বলেন, জনগণের জীবন ও সম্পদ রক্ষার তাগিদ থেকে এনইউজি সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা যুদ্ধ শুরু করছে। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে মিয়ানমারের নাগরিকরা মিন অং লাইংয়ের নেতৃত্বে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করুন।
গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী তাতমাদাও সেনা অভ্যুত্থান ঘটায়। গত বছরের নভেম্বরে দেশটিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিতর্কের জেরে এই অভ্যুত্থান ঘটায় সামরিক বাহিনী। পরে প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চিসহ রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার করে তারা। একইসঙ্গে দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।
এরপর গত ১ আগস্ট জরুরি অবস্থার মেয়াদ আবারও ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দেন জান্তা প্রধান জেনারেল মিন অং লাইং।
এদিকে, সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশটির বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা বন্দী রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির পাশাপাশি সামরিক শাসন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছেন। শুরুতে অহিংস বিক্ষোভ করলেও সামরিক জান্তার দমন-পীড়নে বিভিন্ন স্থানে অস্ত্র হাতে নেয় বিক্ষোভকারীরা।
থাইল্যান্ডভিত্তিক সংস্থা অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস (এএপিপি) জানিয়েছে, সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে গত ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশটিতে সামরিক জান্তার দমন অভিযানে অন্তত এক হাজার ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া বিক্ষোভ সংশ্লিষ্টতায় গ্রেফতার হয়েছেন সাত হাজার ৯০৪ জন। বর্তমানে বন্দী রয়েছেন ছয় হাজার ২৫৭ জন। গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে ঘুরছেন আরও এক হাজার ৯৮৪ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২১
আরবি/এনএসআর